শনিবার (৩১ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে ‘জাতির জনকের হত্যাকাণ্ড এবং তার অসমাপ্ত স্বপ্নের বাস্তবায়ন’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি একথা বলেন।
বেনজীর আহমেদ বলেন, একসময় আমরা সাত কোটি মানুষের খাবার যোগাড় করতেই হিমশিম খেতাম।
তিনি বলেন, একসময় বাংলাদেশের সবুজ পাসপোর্টের মূল্যায়ন করা হতো না। বর্তমানে এ সবুজ পাসপোর্ট নিয়ে বিশ্বের ৩৩টি দেশে ভিসা ছাড়াই যাওয়া যায়। পাঁচ-সাত বছর পর বিশ্বের আরও অনেক দেশেই ভিসা ছাড়া যাওয়া যাবে।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছিল না। তৎকালীন সময়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও হেনরি কিসিঞ্জার বেশ কিছু তারবার্তা আদান-প্রদান করেছিলেন। এর একটিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য মে মাসেও পরিকল্পনা করা হয়েছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে কেন বঙ্গবন্ধুকে রক্ষায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলো না।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে ভুট্টো (জুলফিকার আলী ভুট্টো) একবার বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখন বাংলাদেশের অনেকেই তার আগমনের বিরোধিতা করেছিল, একইসঙ্গে কিছু লোক ভুট্টোর আগমনকে স্বাগত জানিয়েছিল। ৩০ লাখ মানুষের হত্যাকারী ভুট্টোকে স্বাগত জানানো সেই লোকগুলো কে ছিল, তা আমাদের জানতে হবে।
বেনজীর বলেন, হাজার বছর ধরে নিপীড়িত ও বঞ্চিত বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। বর্তমানে বাংলাদেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে, তার পেছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও অবদান।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেগম রোকেয়া পদকপ্রাপ্ত নারী নেত্রী মাজেদা শওকত আলী। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ও ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক। সভায় সভাপতিত্ব করেন মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব মো. আমজাদ হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
আরকেআর/একে