তালিকাটি প্রকাশের পর এ বিষয়ে শনিবার (৩১ আগস্ট) ভারতের একটি সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এ মনোভাব প্রকাশ করেন।
সকাল ১০টায় প্রকাশিত চূড়ান্ত এ তালিকায় নাম উঠেছে মোট ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জনের।
বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী আসামের সরকার বিভিন্ন সময় আকারে-ইঙ্গিতে বলে এসেছে, সেখানে ‘পড়শী’ দেশ থেকে ‘অনুপ্রবেশ’ ঘটেছে। এই অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করতেই তারা এনআরসি তৈরির উদ্যোগ নেয়।
ভারতীয় ওই সংবাদমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, (সাম্প্রতিক বাংলাদেশ সফরে) ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর আমাকে বলেছেন যে এটা পুরোপুরিই ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং এ নিয়ে বাংলাদেশের চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি এও বলেছেন, ‘কোনোভাবেই বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়বে না’।
বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষেরা এখন কোথায়?- এমন এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি এমনটা মনে করি না। কারণ যদি সেখানে কোনো বাংলাদেশি থেকেও থাকেন, তবে তারা হয়তো ১৯৪৭ এর (দেশভাগ) আগে অথবা ১৯৭১ এর (মুক্তিযুদ্ধ) আগে (বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে) গিয়েছেন। অর্থাৎ তারা সেখানে বহুবছর ধরে থাকছেন। সুতরাং আমরা মনে করি না তারা বাংলাদেশি।
ড. মোমেন বলেন, এমন কোনো কারণ নেই যে একজন বাংলাদেশি ভারতে চলে যাবেন। বাংলাদেশ সবদিকে ভালো আছে এবং আমরা দেখি না যে কোনো বাংলাদেশির ভারতে যাওয়ার আগ্রহ আছে। বাংলাদেশে জীবনযাত্রায় ব্যয়ের চেয়ে মাথাপিছু আয়ও তুলনামূলক বেশ ভালো। সুতরাং কারও ভারতে চলে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।
‘আর এনআরসি তালিকাটা কীসের ভিত্তিতে তৈরি হয়েছে সে বিষয়টিও আমি বুঝতে পারছি না’- বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩১, ২০১৯
এইচএ/
** এনআরসিতে বাদ পড়েছে ১১ লাখ হিন্দু, ৬ লাখ মুসলিম বাঙালি