মুন্সীগঞ্জ: মাওয়া-চরজানাজাত (কাওড়াকান্দি) নৌ রুটে নাব্যতা সঙ্কটে পরিবহন ও যাত্রীসহ মাঝ পদ্মায় আটকে পড়া রো রো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।
ফেরিতে ১৫টি ট্রাক ও ৫টি প্রাইভেট কারসহ ৫০ জনের বেশি যাত্রী এখনও আটকে আছেন।
বিআইডব্লিউটিসি’র মাওয়াস্থ ব্যবস্থাপক সিরাজুল ইসলাম রাত সাড়ে ১১টায় জানান, উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। তবে কখন উদ্ধার সম্ভব হবে তা বলা যাচ্ছে না। ২টি আইটি (ইনল্যান্ড টাগ) দিয়ে ফেরিটিকে টেনে সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।
আটকে পড়া ফেরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই তায়েব বলেন, ‘ঘটনাস্থল যেহেতু শিবচর থানার মধ্যে, তাই মাওয়া থেকে কোনো নিরাপত্তা নেওয়া হয়নি। ’
এদিকে চ্যানেলে পানি স্বল্পতা ও ফেরিটি চ্যানেলের মুখে আটকে থাকায় চ্যানেলটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা পর ১০ কিলোমিটার অতিরিক্ত পথ ঘুরে নতুন চ্যানেল দিয়ে শুরু হয়েছে ফেরি চলাচল। এতে আগের চেয়ে এক ঘণ্টা সময় বেশি লাগছে। ফলে ঈদে ঘরমুখো মানুষের বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে।
শুক্রবার সকাল পৌনে আটটার দিকে মাওয়া থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে সোজা চ্যানেল কাওলিয়ারচর-হাজরা চ্যানেলে রো রো ফেরি ভাষা শহীদ বরকত আটকে যায়। একই সময় একই স্থানে আরেকটি ফেরি শাহ মখদুম ডুবোচরে আটকা পড়লেও অল্প সময়ের মধ্যেই তা উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০১৩০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১০