ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আরএনপিপি: রিয়্যাক্টর কারখানা দেখতে রাশিয়ায় প্রতিনিধি দল

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
আরএনপিপি: রিয়্যাক্টর কারখানা দেখতে রাশিয়ায় প্রতিনিধি দল রিয়্যাক্টরসহ যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা পরিদর্শনে প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানসহ বাংলাদেশ প্রতিনিধি দল, ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের (আরএনপিপি) বাস্তবায়নে রাশিয়ায় রিয়্যাক্টরসহ যন্ত্রাংশ তৈরির কারখানা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন।

প্রতিনিধি দলটি গত মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাশিয়ার এইএম টেকনোলজির ভলগাদন্সক কারখানা পরিদর্শন করেন। এই কারখানাতে নির্মাণাধীন আরএনপিপি’র যন্ত্রাংশ তৈরি হচ্ছে।

আরএনপিপি প্রকল্পের জন্য রিয়্যাক্টর এবং স্টিম জেনারেটরের প্রস্তুত প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হতে এই প্রতিনিধি দলটি রাশিয়ায় যায়।

রুশ রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের যন্ত্র-নির্মাণ শাখার অন্তর্ভুক্ত প্রতিষ্ঠান এইএম টেকনোলজি রূপপুর প্রকল্পের দু’টি ইউনিটের জন্য সব অভ্যন্তরীণ যন্ত্রপাতিসহ দু’টি রিয়্যাক্টর এবং স্টিম জেনারেটরের দু’টি সেট প্রস্তুতের কাজে নিয়োজিত রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) রোসাটমের জনসংযোগ শাখা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

রাশিয়ায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম সাইফুল হক, মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা প্রতিনিধি দলে অন্তর্ভুক্ত আছেন।

প্রতিনিধি দল রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল এবং স্টিম জেনারেটর প্রস্তুতের মূল ওয়ার্কশপ ঘুরে দেখেন। প্রস্তুত করা যন্ত্রপাতি ছাড়াও তারা রূপপুর প্রকল্পের এক নম্বর ইউনিটের জন্য নির্মাণাধীন রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেলের ওয়েল্ডিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের প্রথম শ্রেণির নিরাপত্তা ক্যাটাগরির যন্ত্রপাতির প্রস্তুত প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত করা হয়। কারখানার ক্লিন-অ্যাসেম্বলি সেকশনে তারা স্টিম জেনারেটরের কয়েলিং প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করেন।

এ সময় কারখানায় কর্মরত প্রকৌশলীসহ অন্যান্য শ্রমিকদের দক্ষতা ও পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে সময় নির্ধারণ করা হয়েছে, তা যে সর্বোচ্চ কার্যকরভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, সে ব্যাপারে আমি নিশ্চিত হয়েছি। কাজের মান নিয়েও কোনো প্রশ্ন নেই। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশ একটি যথাযত ও উচ্চমানের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পেতে যাচ্ছে।  

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করছে রোসাটম। প্রকল্পটিতে ৩+ প্রজন্মের ভিভিইআর-১২০০ রিয়্যাক্টর ভিত্তিক দু’টি বিদ্যুৎ ইউনিট স্থাপন করা হচ্ছে। প্রতিটি ইউনিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১২০০ মেগাওয়াট। প্রকল্পটির লাইফ সাইকেল ৬০ বছর। তবে তা আরও ২০ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। প্রকল্পটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ এবং দ্বিতীয়টি ২০২৪ সালে উৎপাদনে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৯, ২০১৯
এসকে/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।