মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিকেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১১ এর উপ-পরিচালক মেজর তালুকদার নাজমুছ সাকিব।
ওই সময় তার কাছ থেকে চারজন রোগীর আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ও একজন রোগীর প্রেসক্রিপশনসহ আল্ট্রাসনোগ্রাম মেশিন, প্রিন্টার, রোগী দেখার স্টেথিস্কোপ, ভুয়া অটোসিল, স্ফিগমোম্যানোমিটার উদ্ধার করা হয়েছে।
র্যাব জানায়, জিজ্ঞাসাবাদ ও প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, মো. জহিরুল ইসলামের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থানাধীন বেজোড়া এলাকায়। তিনি দীর্ঘদিন নিজেকে বিশেষজ্ঞ এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে কুমিল্লা ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে নিয়মিত রোগী দেখাসহ রোগীদের বিভিন্ন ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট তৈরি করে আসছে।
তিনি তার নামের পাশে ডাক্তারি ডিগ্রী হিসেবে উল্লেখ করেন- ডা. মো. জহিরুল ইসলাম, এমবিবিএস, পিজিটি (মেডিসিন অ্যান্ড গাইনি), সিএমইউ (ডিইউ), ডিএমইউ (ডিইউ), (সনোলজিস্ট) মেডিসিন, মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
র্যাবের অভিযানিক দল নিবন্ধন করা চিকিৎসক হিসেবে তার এমবিবিএস ডাক্তারি সনদ ও বিএমডিসি কর্তৃক রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেখতে চাইলে তিনি সেইগুলো দেখাতে পারেননি।
জিজ্ঞাসাবাদে ওই ভুয়া চিকিৎসক আরও জানান, স্থানীয় স্কুল থেকে ১৯৯০ সালে এসএসসি ও ১৯৯৩ সালে স্থানীয় কলেজ থেকে ২য় বিভাগ পেয়ে এইচএসসি পাস করেন তিনি। মূলত মেডিক্যাল অ্যাসিসটেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। ২০০৩ সালে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে একটি নকল ভারতীয় এমবিবিএস/এএম সার্টিফিকেট কিনে সেটি ব্যবহার করেই রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন তিনি।
দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও (সনোলজিস্ট) মা, শিশু, চর্ম ও যৌন রোগের অভিজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে অনুমোদনবিহীন কুমিল্লা ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সে (সিডি কমপ্লেক্স) রোগীদের প্রেসক্রিপশন ও আল্ট্রাসনোগ্রামসহ অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং মনগড়া রিপোর্ট তৈরি করে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৮, ২০১৯
এসএ/