ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘যে বুলেট শেখ হাসিনাকে এতিম করেছে, সেটাই খালেদাকে...’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
‘যে বুলেট শেখ হাসিনাকে এতিম করেছে, সেটাই খালেদাকে...’ অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: যে বুলেট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে এতিম করেছে, সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকে বিধবা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, খুন খুনকে ডেকে আনে। হত্যা হত্যাকে ডেকে আনে। এই সত্যকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শোক দিবস উপলক্ষে সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। সচিবালয়ে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ মঈনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপিস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ, ভূমি সচিব মো. মাকছুদুর রহমান পাটওয়ারী ও বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর মোশাররফ হোসেন।

এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের অবাঞ্চিত ঘটনার পুনরাবৃত্তি বার বার ঘটেছে। আমি তো বলি জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের পুরস্কৃত না করতেন, নিরাপদে বিদেশে পাঠিয়ে না দিতেন, তাদের বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত না করতেন, এমনকি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার বন্ধ করতে ইনডিমিনিটি অধ্যাদেশ জারি না করতেন ও খুনিদের বিচার বন্ধ করতে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী না করতেন, তাহলে দেশে আর একটি খুনি চক্র জিয়াউর রহমানকে খুন করতে সাহস পেত না।

তিনি বলেন, একুশে আগস্টের মাস্টার মাইন্ড, আর ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড একই পরিবারের। পিতা এবং পুত্র, আর দুই হত্যাকাণ্ডের প্রাইম টার্গেট হলো পিতা এবং কন্যা। ইতিহাসের কো-ইন্সিডেন্ট লক্ষ্য করুন।

কাদের বলেন, ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জেনারেল জিয়াউর রহমান। ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি একই সূত্রে গাথা। এই আগস্টেরই ২১ তারিখে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকেও নিশ্চিহ্ন করতে প্রকাশ্যে গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল। এই হত্যাকাণ্ডের যারা কারিগর, এর মধ্যে মুফতি হান্নান জবানবন্ধিতে বলেছেন, হাওয়া ভবন থেকে তারেকের নির্দেশে এই হামলা পরিচালিত হয়েছে। যদি তিনি জড়িত না থাকতেন, তাহলে জজ মিয়া নাটক কেন? এফবিআইকে কেন তদন্ত করতে দিলেন না, একজন বিচারপতি দিয়ে তদন্তের নামে ৪০ দিন পর প্রতিবেদন করে জানানো হয় এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বিদেশি কোনো দেশ জড়িত। যদি জড়িত না থাকতেন, তাহলে সূর্য ওঠার আগে সিটি করপোরেশনকে দিয়ে হত্যাকাণ্ডের আলামত পরিষ্কার করালেন কেন? এই হত্যাকাণ্ডের বিচার করেননি বরং এই বিচার কার্য বন্ধ করার জন্য যা যা করার দরকার করেছেন। সাবাই জানে কারা এই হত্যাকাণ্ড করেছিলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্য চোখের জল ফেলে লাভ নেই। ৪৪ বছর পর আর শোক করে লাভ নেই। বঙ্গবন্ধু যে শিক্ষা আমাদের দিয়ে গেছেন, যে বাংলাদেশের স্বপ্ন তিনি দেখেছেন, সেই বাংলাদেশটা যেন আমরা নির্মাণ করতে পারি। বঙ্গবন্ধুই বলেছিলেন, গ্রেট জব যদি তুমি করতে চাও, গ্রেট স্যাকরিফাইস তোমাকেই করতে হবে।

সেতুমন্ত্রী বলেন, আগস্ট মাস এলেই বঙ্গবন্ধুর বড় বড় ছবি। কখনও কখনও বঙ্গবন্ধুর ছবি প্রদর্শন করতে গিয়ে নিজের ছবিটাকে আরও বড় করে অনেকে প্রদর্শন করে। ছবি প্রদর্শন করে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করলে, তার নৈতিকতা থেকে শিক্ষা নিলে, সেটাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের শ্রেষ্ঠ উপায়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৭, ২০১৯
জিসিজি/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।