ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

যুবলীগ নেতা হত্যার আরেক আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
যুবলীগ নেতা হত্যার আরেক আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার মো. হাসান (২০) নামে আরেক আসামি পুলিশের সঙ্গে ‌‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসানসহ এ পর্যন্ত এ মামলার তিনজন আসামি নিহত হলো।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় টেকনাফ থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) সাব্বির আহমদ (৩০), কনস্টেবল লিটন (২১) ও কনস্টেবল বাহার আহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। নিহত হাসান টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের ই-ব্লকের মো. আমিরুল ইসলামের ছেলে।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, গত ২৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকা থেকে হ্নীলা ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি মো. ওমর ফারুক (৩০) হত্যা মামলার আসামি রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী হাসানকে আটক করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোমবার ভোরে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য শালবাগান ক্যাম্প সংলগ্ন রোহিঙ্গা পাহাড়ি বস্তিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে হাসানের সহযোগীরা লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা পিছু হটলে ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও গুলিসহ গুলিবিদ্ধ গুরুতর আহত অবস্থায় হাসানকে উদ্ধার করা হয়।

ওসি আরও জানান, গুলিবিদ্ধ হাসানকে প্রথমে টেকনাফ হাসপাতালে পরে সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত হাসান যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি বলে জানান ওসি।

এর আগে শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দিনগত রাত দুইটার দিকে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার অপর দু’আসামী আকিয়াবের মংডুর সবির আহম্মদের ছেলে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী মো. শাহ ও  রাসিদঙের আব্দুল আজিজের ছেলে মো. শুক্কুর পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। ‘বন্দুকযুদ্ধে’ হাসানসহ এ পর্যন্ত এ মামলার তিনজন আসামি নিহত হলো।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমোরা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে শালবাগান ক্যাম্পের পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। স্থানীয় আব্দুল মোনাফ কোম্পানির ছেলে ওমর ফারুক জাদিমোরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এবং হ্নীলা ইউনিয়ন ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১১১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।