ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

চিড়িয়াখানায় পশু পরিচর্যা দেখতে ১০ জনের বিদেশ ভ্রমণ

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
চিড়িয়াখানায় পশু পরিচর্যা দেখতে ১০ জনের বিদেশ ভ্রমণ জাতীয় চিড়িয়াখানা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: পশু পরিচর্যা দেখতে ঢাকার জাতীয় চিড়িয়াখানা এবং রংপুর চিড়িয়াখানার ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী বিদেশ ভ্রমণ করেছেন। তবে ওই ভ্রমণে অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের পর ঢাকা চিড়িয়াখানায় কাজ শুরু হলেও রংপুরে এখনও কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানা এবং রংপুর চিড়িয়াখানার মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন এবং অপরিহার্য অবকাঠামো সংস্কার উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় দুই চিড়িয়াখানার ১০জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড ভ্রমণ করেছেন। সেখানে ১৪দিন ভ্রমণ করে দুই দেশের বিভিন্ন চিড়িয়াখানা ভ্রমণ করে পশু পরিচর্যা ও দেয়াল নির্মাণ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তারা।

যা কাজে লাগানো হবে ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানার উন্নয়ন কাজে।

জানা গেছে, প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের জুলাইয়ে। আর বাস্তবায়ন হওয়ার কথা ২০২০ সালের জুনের মধ্যে। কিন্তু এ প্রকল্পের অগ্রগতি বলতে শুধু-ই বিদেশ ভ্রমণ। রংপুর চিড়িয়াখানায় প্রকল্পের কাজ এখনও শুরু-ই হয়নি। আর ঢাকা চিড়িয়াখানায় প্রকল্পের কাজ চলছে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে।  

প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের উপ-পরিচালক (রংপুর বিভাগ) ডা. মো. হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, রংপুর চিড়িয়াখানার কাজ এখনও শুরু হয়নি। তবে ওয়ার্ক অর্ডার হয়েছে। আশা করছি প্রকল্পের আওতায় চিড়িয়াখানার বাউন্ডারি ওয়াল ও টয়লেট নির্মাণ কাজও শুরু হবে।  

এর আগে চলতি বছরের ২৫ জুন থেকে ৮ জুলাই পর্যন্ত বিদেশ সফর করেন এই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা হলেন- প্রকল্পের পরিচালক ও বাংলাদেশ জাতীয় চিড়িয়াখানার (মিরপুর) কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম, রংপুর চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ড. আম্বুর আলী তালুকদার ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস।

তাদের সফরসঙ্গী ছিলেন- জাতীয় চিড়িয়াখানার অ্যানিমেল কেয়ারটেকার মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, আব্দুল জলিল, রাকিব হাসান, লিয়াকত আলী, মোজাফফর আলী, ইয়াসির সজল ও রংপুর চিড়িয়াখানার অ্যানিমেল কেয়ারটেকার আনোয়ার হোসেন।

রংপুর চিড়িয়াখানা।  ছবি: সংগৃহীত

প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানা আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে অবকাঠামো, মেরামত, লেকের সৌন্দর্য বর্ধন এবং শিশু পার্ক রি-মডেলিং করা করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৩৪ কোটি টাকা। চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি মাত্র ৯ দশমিক ১১ শতাংশ।

এ বিষেয়ে যোগাযোগ করা হলে প্রকল্প পরিচালক ডা. এস এম নজরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, নানা কারণে প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো না। তবে ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানায় টয়লেট-দেয়াল নির্মাণসহ কিছু কাজ চলছে। বিদেশি পরামর্শক দিয়ে মাস্টারপ্ল্যান করা হবে।

মালয়েশিয়া-থাইল্যান্ড ভ্রমণে ঢাকা ও রংপুর চিড়িয়াখানার ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারী তাদের অর্জিত বাস্তব অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।