রোববার (২৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরের নবাবগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে সন্ত্রাস, জঙ্গি ও মাদকবিরোধী সমাবেশে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, একাত্তরে যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তারাই দেশে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৈরি করছে।
পুলিশ বাহিনীর উদ্দেশ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশ বাহিনীকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়তে হলে টেকসই নিরাপত্তা প্রয়োজন। এজন্য আপনাদের সবসময় জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, কর্মসংস্থান বাড়াতে দোহার-নবাবগঞ্জে দু’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের (বিসিক এরিয়া) জন্য জায়গা নির্ধারণ করা হচ্ছে। রাস্তা নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি ও নদী খননের জন্য পাঁচশ’ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত মডেল উপজেলা হবে দোহার-নবাবগঞ্জ।
এলাকাবাসীর উদ্দেশে তিনি বলেন, এ এলাকা যদি মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত না হয়, তাহলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে উন্নয়মূলক কিছু চাওয়া যাবে না।
সমাবেশে একশ’ জন নারী-পুরুষ মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেন। স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে ১৫ জন পুরুষকে ভ্যানগাড়ি ও দুই নারীকে সেলাই মেশিন দেওয়া হয়।
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার শাহ মিজান শাফিউর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশ ইন্সপেক্টর জেনারেল (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফেরদৌস খান, ঢাকা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য আব্দুল বাতেন মিয়া, দোহার উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন, নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন ঝিলু, নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ০১১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
একে