ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

পাবনায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত পলাতক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৬, ২০১৯
পাবনায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে মামলা, অভিযুক্ত পলাতক

পাবনা: পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের হেমরাজপুর গ্রামে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

নির্যাতনের শিকার ওই শিশু হেমরাজপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা বাদী হয়ে সুজানগর থানায় মামলা করেছেন।

এরপর থেকে অভিযুক্ত আসামি পলাতক রয়েছেন।  

জানা যায়, গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বাড়ির পাশের বাগানে প্রতিবেশি জয়দেব কুমার দাস ওই শিশু মেয়েটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই শিশুকে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। পরে মেয়েটির শরীর থেকে রক্তক্ষরণ দেখে তার মা জিজ্ঞাসা করলে বিষয়টি তার মাকে জানায়। পরে মেয়েটির বাবা ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে জানালে তিনি মিমাংসার কথা বলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি। এক পর্যায়ে ঘটনাটি জানাজানি হলে শনিবার সুজানগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অর্জুন প্রাথমিক তদন্তে এসে অভিযুক্ত জয়দেবকে আটক করে।  

তখন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন ও সাবেক ইউপি সদস্য ইমরুল হোসেন সামাজিকভাবে সমঝতার কথা বলে অভিযুক্ত জয়দেবকে পুলিশের কাছ থেকে ছাড়িয়ে নেয়। কিন্তু দরিদ্র ভ্যানচালক মেয়েটির বাবা পুলিশের কাছে যেতে চাইলে চেয়ারম্যান ও মেম্বার তাদের বাধা দেয়।

শিশুটির মা বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা মেয়েকে ডাক্তারের কাছে নিবের চাইছিলাম কিন্তু চেয়ারম্যান মেম্বরেরা যাবের দেয় নাই। আমরা গরীব মানুষ আমার মেয়ের সামনে কী হবি। আমার শিশু মেয়ের সাথে যে এই জঘন্য কাজ করেছে তার বিচার করে দিবেন আপনারা। আমি কঠিন বিচার চাই। ’

ভায়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিন উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, বিষয়টি আমি সামাজিকভাবে বসে ঠিক করার কথা বলে ছিলাম। পরে সমাধান করতে পারবো না বলে জানিয়েছি। মেয়েটির বাবা আমার কাছে এসেছিল আমি তাকে আইনগত ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলেছি। ঘটনার পরে পুলিশ তদন্তে এসেছিল তখন ঘটনাস্থলে অভিযুক্ত জয়দেব উপস্থিত ছিলেন। তখন নির্যাতিতের পরিবার পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেনি। সে কারণে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। আমি কোনো ধরনের অনিয়ম করিনি।

পাবনা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগের কথা শুনেছি। সংশ্লিষ্ট থানাকে বিষটি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য বলেছি। ধর্ষক সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ছিলাম। প্রাথমিক পর্যায়ে ভিকটিমের পরিবার বিষয়টি থানাকে জানাতে চায়নি। বিষয়টি সামাজিকভাবে ছড়িয়ে পড়লে আমরা নির্যাতিতের পরিবারকে থানাকে নিয়ে আসি। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুটির বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছে। অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।