ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নন এমপিও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের মানববন্ধন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
নন এমপিও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের মানববন্ধন মানববন্ধন। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দারুল ইহসান বিশ্বববিদ্যালয় থেকে সনদ অর্জনকারী নন এমপিও সহকারী গ্রন্থাগারিকদের এমপিওভুক্তির জন্য মানববন্ধন করেছে নন-এমপিও সহকারী গ্রন্থাগারিক অ্যাসোসিয়েশন।

রোববার (২৫ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।

মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন নন এমপিও সহকারী গ্রন্থাগারিক অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক মোহাম্মদ আলী।

এসময় কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ অর্জনকারীদের এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে দ্বৈত নীতি অনুসরণ করে চলেছে যথাযথ কর্তৃপক্ষ। সাধারণ সরকারি বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েও দীর্ঘ কয়েক বছর যাবত বেতন-ভাতার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। পক্ষান্তরে প্রভাবশালীদের আশীর্বাদপুষ্টরা অনায়াসে এমপিওভুক্ত হয়ে চলেছে।

তারা বলেন, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্জিত সনদধারীদের ২০১৬ সাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় বিধি মোতাবেক নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়োগপ্রাপ্ত সকল সহকারী গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে এমপিও দেওয়া হয়েছে। সে আলোকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ সহকারী গ্রন্থাগারিক ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নিয়ে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/অনুমোদিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পুনরায় সনদ অর্জন করেছে। পূর্বের সনদের সঙ্গে তা সংযুক্ত করে আবেদন করে অনেকেই এমপিওভুক্ত হয়েছেন। কিন্তু একই রকম নিয়োগ, যোগ্যতা ও বয়স থাকার পরও আমাদের এমপিও দেওয়া হচ্ছে না, যা চরম দ্বৈত নীতির উদাহরণ।

তারা বলেন, ২০১৮ সালে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের এক বৈঠকের সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়োগ প্রাপ্তদের এমপিও দেওয়ার নির্দেশ জারি করলেও পরের দিনই অনিবার্য কারণ দেখিয়ে ওই আদেশ স্থগিত ঘোষণা করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ আদেশ যথাযথ কিনা তা মতামতের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। আইন মন্ত্রণালয় এর পক্ষে মতামত প্রদান করলেও এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। এ ব্যাপারে ওই সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ বলেছিলেন, সবকিছু ঠিক আছে। ডিসেম্বর ২০১৮ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর ওই আদেশ ছাড়া হবে। কিন্তু এ পর্যন্ত আদেশের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এরপর গত ৩০ জুন দারুল ইহসানের সনদে নিয়োগ পাওয়া এমপিওভুক্ত ১৫ জন শিক্ষকের তালিকা স্কুলের নামসহ প্রকাশ করা হয়। এতে আমরা চরম হতাশায় দিন যাপন করছি। একই রকম বয়স যোগ্যতা ও নিয়ম থাকার পরও আমাদের কেন এমপিও দিচ্ছে না মন্ত্রণালয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত মে মাসে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে এক চিঠিতে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল তারিখ পর্যন্ত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্যুকৃত সনদের বৈধতা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারির কথা বলা হলেও এখনো তা কার্যকর করা হয়নি।

তারা বলেন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মূল কর্তৃপক্ষ ম্যানেজিং কমিটি। হাইকোর্টের রায়ে দারুল ইহসানের সনদ অবৈধ ঘোষিত হয়নি। ম্যানেজিং কমিটিকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের এখতিয়ার দেওয়া হয়েছে। সে সুবাদে আমরা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়ে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছি। প্রায় তিন হাজার শিক্ষক সহকারী গ্রন্থাগারিকদের মধ্যে এনটিআরসিএ সুপারিশ করা শিক্ষকরাও রয়েছে এমপিও বঞ্চিত।

বিষয়টি তাই মানবতার দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা করে এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর অনুগ্রহ প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।