এটি নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের সাবোর্ডিনেট কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চিত্র।
সৈয়দপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে বিদ্যালয়টির অবস্থান।
শনিবার (২৪ আগস্ট) সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, বিদ্যালয়টির আশপাশে রেলওয়ে জমি দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ বস্তি। বস্তিবাসীর পয়ঃনিষ্কাশনের পানি উপচে বিদ্যালয়টির মাঠে প্রবেশ করছে। ফলে পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধময় হয়ে উঠেছে। বিদ্যালয়টির পেছনটা আস্তাকুড় বানিয়েছে বস্তির বাসিন্দারা। এর মধ্যে বেড়ে উঠছে ঝোপ-জঙ্গল। যেখানে মশার অভয়ারণ্য সৃষ্টি হয়েছে। ঝোপ-জঙ্গলের ভেতরে মাঝে-মধ্যে বিষধর সাপও দেখা যায়।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিউলি সুলতানা বলেন, আমি এই বিদ্যালয়ে নতুন এসেছি। এখানকার পরিবেশ সত্যি অস্বাস্থ্যকর। বৃষ্টি ও নর্দমার পানি জমে একাকার হচ্ছে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ। মাঝে-মধ্যে বিষধর সাপের আনাগোনাও দেখা যায়। এনিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠায় আছি আমরা। বিষয়টি বেশ কয়েকবার স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে অবহিত করা হয়েছে কিন্ত কোনো কাজ হয়নি। তাই বিষয়টি লিখিতভাবে সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছি আমরা।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মিঠু, সাহানা, ববির সঙ্গে কথা বললে তারা জানায়, সাপ নিয়ে খুব ভয়ে আছি আমরা। আর দুর্গন্ধে ক্লাস করাও কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
অভিভাবক শাহানা বানু জানান, সন্তানকে ভয়ে ভয়ে স্কুলে পাঠাই। কখন কি হয় জানিনা।
বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মনসুর আলী জানান, এই স্কুল থেকে বের হয়ে অনেকেই বরেণ্য হয়েছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন পদ্মাসেতু প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়ক মেজর জেনারেল আবু সাঈদ মো. মাসুদ, বিনোদন পাক্ষিক আনন্দ আলোর সম্পাদক রেজানুর রহমান, সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদের মোখছেদুল মোমিন অন্যতম। অথচ এই বিদ্যালয়টির অবস্থা অবর্ণনীয়।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহজাহান মণ্ডলের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, আবর্জনা পরিষ্কারের জন্য সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। আমরা বিদ্যালয়ের মাঠে বাউন্ডারি ওয়াল তৈরি করে দেব। আপাতত মাঠ ভরাট করার কাজটি করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
আরএ