ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রেমের ফাঁদে আসমাকে ধর্ষণ-হত্যা, স্বীকার বাঁধনের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
প্রেমের ফাঁদে আসমাকে ধর্ষণ-হত্যা, স্বীকার বাঁধনের

ঢাকা: প্রেমের ফাঁদে ফেলে মাদ্রাসাছাত্রী মোসা. আসমাকে (১৭) পঞ্চগড় থেকে ঢাকায় এনে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করেছে অভিযুক্ত মারুফ হোসেন বাঁধন (১৯)।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে বাঁধনকে পঞ্চগড় থেকে গ্রেফতার করে ঢাকায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে সে এ স্বীকারোক্তি দেয়। জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে ঢাকা রেলওয়ে থানার (কমলাপুর) উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলী আকবর বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান।

গত ১৯ আগস্ট সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ওয়াশ ফিল্ড এলাকায় পরিত্যক্ত ট্রেনের বগির ভেতরের বাথরুম থেকে এই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। গত ১৮ আগস্ট সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল পঞ্চগড় সদর উপজেলার একটি গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে আসমা। সে গ্রামের একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। গত বছর দাখিল পরীক্ষা দেয়।

এসআই আলী আকবর ওইদিন বাংলানিউজকে জানিয়েছিলেন, ট্রেনের বগির বাথরুম থেকে ওই কিশোরীর মরদেহ উদ্ধারের সময় শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখা যায় এবং তার গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

পুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঢাকায় এসে আসমার স্বজনরা তার মরদেহ শনাক্ত করেন। তখন আসমার চাচা রাজু মিয়া বলেন, ‘আমরা শুনেছি গ্রামের একটি ছেলের (বাঁধন) সঙ্গে আসমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আসমা নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওই ছেলেকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই ছেলে জড়িত। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব বেরিয়ে আসবে। ’

এরপর রাজু মিয়া রেলওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, এতে মারুফ হোসেন বাঁধনকে আসামি করা হয়।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আসমার মরদেহের ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকরা জানান, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং হত্যার আগে ধর্ষণের করা হয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আলী আকবর বাংলানিউজকে জানান, বাঁধনকে পঞ্চগড় থানা পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। আমরা পঞ্চগড় থেকে বাঁধনকে গ্রেফতার করে কমলাপুর থানায় নিয়ে আসি আজ সকালে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বাঁধন এই হত্যাকাণ্ড স্বীকার করেছে। সে জানিয়েছে, প্রেমের সূত্র ধরে তারা দু’জন ঢাকায় আসে ১৯ আগস্ট ভোরের দিকে এবং কমলাপুরে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরাঘুরি করে হোটেলেও খাওয়া-দাওয়া করে। একপর্যায়ে ট্রেনের ভেতরে নিয়ে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে বাঁধন। বিস্তারিত তথ্য আরও জানার চেষ্টা চলছে আসামি বাঁধনের কাছ থেকে। আজই তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৪, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।