ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

এ বছর আশ্বিন-কার্তিকে একটি মানুষও না খেয়ে থাকেনি: খাদ্যমন্ত্রী

শফিক জামান, জেলা প্রতিনিধি | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১০

জামালপুর: খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘এ বছর আশ্বিন-কার্তিক মাসে রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী, জামালপুরে মঙ্গা পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। একটি মানুষও না খেয়ে থাকেনি।



শুক্রবার জামালপুরের যমুনা তীরবর্তী বন্যা ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে পাথর্শীতে এক পথসভায় তিনি একথা বলেন।

বর্তমান সরকার দু:স্থদের জন্য কাজ, খাদ্য ও ভিজিএফসহ বিভিন্ন কল্যাণমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করায় মানুষকে না খেয়ে থাকতে হয়নি বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ৫ বছরে হাজার হাজার মানুষ খাদ্যাভাব ও মঙ্গায় না খেয়ে চরম দুর্ভোগ সহ্য করেছে। ’

পাথর্শী ছাড়াও সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ইসলামপুর উপজেলায় খানপাড়া, কুলকান্দি, গুঠাইল ও চিনাডুলী এলাকায় পৃথক পৃথক পথসভায় বক্তৃতা করেন মন্ত্রী। বন্যা ও ভাঙ্গনে তিগ্রস্ত ইসলামপুর উপজেলার বাড়ি-ঘর হারা হাজার হাজার মানুষের দু:খ-কষ্ট লাঘবে ঘর-বাড়ি নির্মাণ, খাদ্য সমস্যা সমাধান ও পুনর্বাসনে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও প্রতিশ্র“তি দেন খাদ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, ‘বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও ভাঙ্গন প্রতিরোধে ইতিমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড ৩৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে দেওয়ানগঞ্জ-ইসলামপুর এলাকায় বাঁধ নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বার বার নদী ভাঙ্গনের কবল থেকে ইসলামপুরের মানুষ রক্ষা পাবে। ’

ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি জিয়াউল হকের সভাপতিত্বে পথসভাগুলোতে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফরিদুল হক খান দুলাল এবং জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ছাড়াও ভাঙ্গন কবলিত পাথর্শী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বক্তব্য রাখেন।

পরে পাথর্শী ও কুলকান্দিতে ভাঙ্গন ও বন্যায় তিগ্রস্তদের মাঝে চাল বিতরণ করেন মন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময়: ২২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৩, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।