প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুরা এলাকায় বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ওমর ফারুককে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সন্ত্রাসীরা। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে স্থানীয় লোকজন এ ঘটনার প্রতিবাদে হামলাকারী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবি জানায়।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বাংলানিউজকে জানান, যুবলীগ নেতা হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় কিছু বিক্ষুব্ধ মানুষ সড়কের উপর বিক্ষোভ করে এবং ক্যাম্পে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। তবে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত সাড়ে ১০টার দিকে বাড়ির সামনে ছিলেন ওমর ফারুক। এসময় রোহিঙ্গা ডাকাত সর্দার সেলিমের নেতৃত্বে একদল অস্ত্রধারী ওমর ফারুককে তুলে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে পাহাড়ে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করে। খবর পেয়ে ফারুকের ভাই আমির হামজা ও উসমানসহ স্বজনেরা সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তার মরদেহ আনতেও বাধা দেয়।
এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. ইকবাল হোসাইন বাংলানিউজকে জানান, কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার বা আর্থিক বিষয় নিয়ে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
নিহত ওমর ফারুক উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা এলাকার মো. মোনাফ প্রকাশ মোনাফ কোম্পানির ছেলে এবং হ্নীলা ৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগ ও জাদিমুরা এম আর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এসবি/জেডএস