ঢাকা, মঙ্গলবার, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

টিকিট এখনো যেন সোনার হরিণ!

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
টিকিট এখনো যেন সোনার হরিণ!

জামালপুর: ঈদের ছুটি শেষ হয়েছে সপ্তাহ পেরোলো, ধীরে ধীরে ঢাকা যেতে শুরু করেছে কর্মজীবী মানুষ। জামালপুর থেকেও ঢাকা যেতে শুরু করেছে লোকজন। তবু এতোদিন পেরিয়েও জামালপুর থেকে ঢাকাগামী ট্রেনের টিকিট সহজে মিলছে না। কেউ কেউ বলছেন, এখনো ট্রেনের টিকিট যেন সোনার হরিণ! এক্ষেত্রে টিকিট কালোবাজারির অভিযোগ মিললো বেশ কিছু।

জামালপুরের ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশনে কথা হচ্ছিল ঢাকাগামী যাত্রী কাউছার আহাম্মেদের সঙ্গে। খেদ প্রকাশ করে তিনিই বললেন, ট্রেনের টিকিট যেন নয়, এক একটি সোনার হরিণ।

পাঁচ দিন যাবত ঘুরে একটি টিকিটও পাইনি।

ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ রুটে দু’টি আন্তঃনগর, একটি বেসরকারি (কমিউটার) ট্রেন এবং সড়কপথে কয়েকটি বাস চলাচল করছে। ট্রেনের ক্ষেত্রে ইসলামপুরে রেলওয়ে স্টেশনের ২৪ আগস্টের আগের কোনো টিকিট মিলছে না। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও পারা যায়নি।

তবে কিছুটা সময় স্টেশন ঘুরে বোঝা গেলো, কাউন্টারে টিকিট না মিললেও কালোবাজারে মিলছে সহজেই। কালোবাজারিরা আগে থেকে তাদের ভাড়াটে লোক প্রতিদিন লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনে নেয়। এরপর তা অনেক বেশি দামি বিক্রি করে ঢাকাগামী যাত্রীদের কাছে।

তবে কালোবাজারিদের কারবারে এসেছে পরিবর্তন। তারা এখন নিজের কাছে টিকিট রাখে না, স্টেশনে যাত্রীর সঙ্গে দফারফা হলে বাড়ি গিয়ে বা অন্য কোনো জায়গায় গিয়ে টিকিট পৌঁছে দেয়। চাহিদা বুঝে এসির ৪২৬ টাকার টিকিট ১৫০০ টাকা, ২২৫ টাকার চেয়ার টিকিট ১০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে।

রেলওয়ে স্টেশন মাস্টারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আন্তঃনগর তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনে ইসলামপুর স্টেশনের জন্য ৯৭টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে কেবিন ৭টি, এসি চেয়ার ৩০টি ও চেয়ার ৬০টি। ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে ১৪০টি আসন রয়েছে, এরমধ্যে চেয়ার ১০টি, শোভন চেয়ার ১৩০টি। এছাড়া বেসরকারি কমিউটার ট্রেনের ঢাকার জন্য ৬০টি ও ময়মনসিংহের জন্য ১০টি আসন রয়েছে।  

এসব টিকিটের ৫০ শতাংশ আসন অনলাইনে ও ৫০ শতাংশ কাউন্টারে আসা যাত্রীদের দেওয়ার কথা। কিন্তু সব টিকিটই কয়েকদিন আগেই শেষ হয়ে গেছে বলে বক্তব্য সংশ্লিষ্টদের।

ইসলামপুর স্টেশনে ঢাকাগামী যাত্রী শিরিনা, রোকেয়া, ফারজানা, রুবেল, কমল, জসিম, শামিম বলেন, ‘কোন দেশে বাস করি? সরকারি কাউন্টারে টিকিট নেই। কালোবাজারিদের কাছ থেকে পাঁচ গুণ বেশি দামে টিকিট নিতে হয়। কী করবো, পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থলে যেতে তো হবেই। তাই বাধ্য হয়ে কালোবাজারিদের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে। ’

এ বিষয়ে ইসলামপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মিজানুর রহমানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এদিকে সড়কপথে রাজিব, এসকে জননী, রংধনু ও শেরপুর ট্রাভেলসহ প্রায় ২৫টি বাস চলাচল করছে ঢাকা অভিমুখে। এসব বাসের কাউন্টারে ৩০০ টাকার টিকিট ৭০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ যাত্রীদের।

এ ব্যাপারে আলাপ করলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।