ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

‘বঙ্গবন্ধু পথ না দেখালে অগ্রসর হতে পারতাম না’

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ২৩, ২০১৯
‘বঙ্গবন্ধু পথ না দেখালে অগ্রসর হতে পারতাম না’ জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। আমরা জানি বঙ্গবন্ধু কী ছিলেন ও আমাদের কী দিয়েছিলেন। তিনি পথ না দেখালে মুক্তিযুদ্ধের পথে আমরা অগ্রসর হতে পারতাম না। তিনি আমাদের সচেতন নাগরিক করেছেন। তিনি অমর, অক্ষয়।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির আয়োজনে জাতীয় নাট্যশালার মহড়া কক্ষে বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালায় এসব কথা বলেন জাতীয় অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। দীর্ঘ বক্তৃতায় তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক ও ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের পটভূমি তুলে ধরেন।

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ৭ মার্চের ভাষণ কোনো লিখিত ভাষণ ছিল না। এটি ছিল সম্পূর্ণ তাৎক্ষণিক। এ ভাষণে তিনি সরাসরি স্বাধীনতার ডাক না দিয়েও বাঙালিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানিয়েছেন। এ ভাষণের মধ্য দিয়েই সবাই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করেন।

তিনি বলেন, পৃথিবীতে অনেক জননেতাকে শত্রুর হাতে প্রাণ দিতে হয়েছে। কিন্তু, বঙ্গবন্ধুর ক্ষেত্রে পরিবারের সবাইকেই প্রাণ হারাতে হয়েছে। যারা হত্যাকারী, তারা আবার দেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর নাম ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ, বাংলার মানুষ নিশ্চিতভাবে জেনেছিল ও বিশ্বাস করেছিল যে, বঙ্গবন্ধুর জন্যই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমাদের নিজেদের সত্তা ফিরে পেয়েছি।  

অনুষ্ঠানে আরও বক্তৃতা রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষের ডিন অধ্যাপক ড. আবু মো. দেলোয়ার হোসেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর জীবনের নানা দিক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ের পরিস্থিতি তুলে ধরেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বঙ্গবন্ধুসহ সব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শিশুদের সমবেত কণ্ঠে সম্মিলিত গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

দেশের বরেণ্য লেখক ও গবেষকদের বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কাজ বিষয়ে বক্তব্য নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালা’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ শিল্পকলা অ্যাকাডেমি। নিয়মিত এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০০টি স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হবে।

গত ৭ আগস্ট ‘বঙ্গবন্ধু স্মারক বক্তৃতামালা’ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। প্রথমপর্বে স্মারক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। ‘বাংলার রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং বঙ্গবন্ধু’ শিরোনামে বক্তৃতায় অবিভক্ত বাংলার রাজনৈতিক নেতৃত্বের তুলনামূলক আলোচনা করা হয়।  

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এইচএমএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।