ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বরিশালে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৮, মালামাল উদ্ধার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
বরিশালে ডাকাতির ঘটনায় গ্রেফতার ৮, মালামাল উদ্ধার মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। ছবি: বাংলানিউজ

বরিশাল: বরিশাল সদর উপজেলার টুঙ্গিবাড়িয়ায় দুর্ধর্ষ একটি ডাকাতির ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ ডাকাতসদস্যসহ ৮ জনকে গ্রেফতার এবং বেশ কিছু মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গত ১০ জুলাই দিবাগত রাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানাধীন টুঙ্গিবাড়িয়ার ধোপাকাঠি এলাকার সৈয়দ মোস্তফা কামাল (হুমায়ুন মীর) এর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদলের সদস্যরা বাড়ির সবাইকে জিম্মি করে কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

এ ঘটনায় মামলার পর সহকারী পুলিশ কমিশনার (বন্দর) প্রকৌশলী শাহেদ আহমেদ চৌধুরীর নেতৃত্বে একটি চৌকস দল তদন্তে নামে। ওই ডাকাতির ঘটনায় বিভিন্ন মাধ্যম ব্যবহার করে এ পর্যন্ত ৬ জন ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অস্ত্র আইন, বিস্ফোরকদ্রব্য আইন, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও ডাকাত সদস্যদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী আরও ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। যারা ডাকাত সদস্যদের লুন্ঠিত চোরাই স্বর্ণ দীর্ঘদিন ধরে ক্রয় করে আসছিল।

গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা হলো- বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল এলাকার ছালাম হাওলাদার (৩৫), একই উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নের কাটাদিয়া এলাকার মো. মনির হাওলাদার (৩০), বানারীপাড়া উপজেলার মসজিদ বাড়ি এলাকার মো. রফিকুল ইসলাম বাবুল শেখ (৪০), উজিরপুর উপজেলার উত্তর লস্করপুর মো. মাছুম বেপারী (৩৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার সূর্যপাশা এলাকার ছেলে মো. খলিল হাওলাদার (৩৫) ও মাছুম (৩৫)।

এছাড়াও পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ফরাজি মার্কেটের ব্যবসায়ী ও চোরাইস্বর্ণের ক্রেতা আশিষ কর্মকার (৩০) এবং একই উপজেলা সদরের কর্মকার পট্টির হৃদয় জুয়েলার্সের অশোক কর্মকারকেও (৩৮) গ্রেফতার করা হয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতার সবাই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পাশাপাশি তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী ৩২ ইঞ্চি একটি এলইডি টেলিভিশন, ১ ভরি ৫ রত্তি স্বর্ণ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত মোটরসাইকেল, দা, সেলাই রেঞ্জ, স্ক্রু ড্রাইভার, শাবল, বেশ কয়েকটি মোবাইল সেট উদ্ধার ও জব্দ করা হয়। এটি একটি ওয়েল ডিটেকটেড মামলা। আমরা আশাবাদি ডাকাতির ঘটনায় জড়িত গ্রেফতার আসামিদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত হবে। এরমধ্য দিয়ে এ এলাকায় এ ধরনের ডাকাতির ঘটনা কমে আসবে। সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকবে, নিরাপদে থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁইয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলা‌দেশ সময়: ১৫২৬ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯
এমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।