বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কমিটির সভাপতি সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি শাহজাহান খানের নেতৃত্বে সুপারিশমালা হস্তান্তর করা হয়েছে।
এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, কমিটি পরপর সাতটি সভার মাধ্যমে দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করে এবং সুপারিশমালাসহ প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে।
প্রতিবেদনে দুর্ঘটনার প্রধান প্রধান কারণগুলো উঠে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, সড়ক ও সড়কে চলাচলের পরিবেশ, অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, চালকের অসর্তকতা, সড়ক নির্মাণে প্রকৌশলগত ত্রুটি, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ দপ্তর/সংস্থার মধ্যে দায়িত্ব পালনে অনীহা, যানবাহন ও সড়ক ব্যবহারকারী তথা চালক, যাত্রী ও পথচারীসহ সকলের অসচতেনতা, সড়কের পাশে বসবাসরত জনগণের অসচতেনতা ইত্যাদি।
‘প্রতিবেদনে সুপারিশসমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও শিক্ষা, প্রচার প্রচারণা, মহাসড়কের প্রকৌশলগত বিষয়াদি, কারিগরি দিক, রাস্তার উপর বিভিন্ন স্থাপনা ও রাস্তার দুপাশে বৃক্ষরোপন, হাট-বাজার ব্যবস্থাপনা/ইজারা প্রদান, বাস স্টপেজ, বাস-বে, ডিভাইডার, লেন, লেভেল ক্রসিং, মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামীণ রাস্তার সংযোগ, ঢাকা শহরের বাস ফ্রাঞ্চাইজিং, ফিটনেসবিহনী লক্কর-ঝক্কর যানবাহন এবং চালকদের প্রশিক্ষণের বিষয়টিও যথেষ্ট গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ’
ওবায়দুল কাদের জানান, আগামী ৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভা আহ্বান করে এ সব সুপারিশমালা উপস্থাপন করা হবে।
সুপারিশমালা বাস্তবায়নে একটি শক্তিশালী টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাবনা রয়েছে জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, এ কাজটি যত দ্রুত করা সম্ভব। কারণ দুর্ঘটনা, যানজট এসব বিষয় আজকে একটা দুর্ভাবনা হয়ে গেছে এবং দুশ্চিন্তার বিষয়। সাধারণত কমিটি গঠনের পর প্রতিবেদন আলোর মুখ দেখে না। তবে এটি তার ব্যতিক্রম।
‘সুপারিশ করে কোনো লাভ নেই যদি এর বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া সঠিক ও যথাযথ না হয়। আমরা আসলে ভাষণের চেয়ে অ্যাকশনকেই গুরুত্ব দিতে চাই। ’
তিনি বলেন, সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়নে কোনো বাধা আছে কি না- আইনের বিধিমালা প্রণয়নের জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রী বসে আলোচনা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিদেশ থেকে ফিরলে বিষয়টি আলোচনা করে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আইন ঠিক রেখে কোনো অ্যাডজাস্টমেন্ট করা হবে।
সভায় জানানো হয়, জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভায় সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ১৫ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে আরও আট জন সদস্যকে কো-অপ্ট করা হয় কমিটিতে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২২, ২০১৯/আপডেট: ১৪৫৯ ঘণ্টা
এমআইএইচ/এমএ/এএ