ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

বাড্ডায় জেএমবির ৪ সদস্য আটক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
বাড্ডায় জেএমবির ৪ সদস্য আটক র‌্যাবের হাতে আটক জেএমবির ৪ সদস্য।

ঢাকা: রাজধানীর উত্তর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের (জেএমবি) ৪ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

আটক চারজন হলেন, রফিকুল ইসলাম ওরফে ইউসুফ (২৮), আলমগীর হোসেন (৩০), মহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহ (২২) ও হারুন-অর-রশিদ (২৮)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, নোটবুকসহ জঙ্গি কার্যক্রমে উদ্বুদ্ধকরণের বিভিন্ন বই ও ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়েছে।


 
বুধবার (২১ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর বাড্ডা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
 
ৠাব-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, উত্তর বাড্ডা এলাকায় জেএমবির সদস্যরা একত্রিত হয়ে নাশকতার পরিকল্পনা করছিল এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে।
 
আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি জানান, রফিকুল ইসলাম ২০১১ সাল থেকে বিভিন্ন মাদ্রাসায় হেফজ শিক্ষক হিসেবে চাকরি করে আসছিলেন। রাজীব নামে এক জেএমবি সদস্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সূত্রে তিনি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন। নাশকতার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সম্প্রতি কয়েকজন মিলে টঙ্গী এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করতে থাকেন রফিকুল। মাসখানেক পর নিরাপত্তার স্বার্থে বাসা পরিবর্তন করে সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন বাসা ভাড়া নেন তারা। রফিকুলের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবিতে যোগ দিয়েছেন।
 
আটক আলমগীর হোসেন ২০১১ সালে দাওয়ারা হাদিস পাস করেন। তারপর থেকে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসায় ইমাম ও খতিব হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১-১২ সালে জঙ্গি নেতা মুফতি জসিম উদ্দিন রহমানির মাদ্রাসায় চাকরিকালীন তিনি উগ্রবাদে আকৃষ্ট হন। পরবর্তীতে জসিম উদ্দিন রহমানি গ্রেফতারের পর আলমগীর হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। এরপর ২০১৪ সালে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে তিনি জেএমবিতে যুক্ত হন। তিনি সংগঠনের বিভিন্ন বিষয়ে পরিকল্পনা এবং দাওয়াতের কাজ পরিচালনা করতেন।
 
আটক মহিদুল ইসলাম ওরফে সাইফুল্লাহ পঞ্চম শ্রেণির পর আর পড়াশুনা করেননি। আটক আলমগীর ও রফিকুলের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে তিনি জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন এবং সংগঠনের কার্যক্রমে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছিলেন। আটক হারুন-অর-রশিদ মাওলানা পাস শেষে ২০১৮ সালে একটি আর্য়ুবেদিক ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি নেন। সে সময় তিনিও আলমগীর ও রফিকুলের সঙ্গে পরিচয় সূত্রে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পড়েন।
 
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বাকিদের গ্রেফতাদের ৠাবের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এএসপি সালাউদ্দিন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০১৯
পিএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।