ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার শুরু

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার শুরু সাক্ষাতকার দিতে আসছেন রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার: আগামী ২২ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করার কথা বলা হলেও আদৌ শুরু করা যাবে কিনা তা নিয়ে রয়েছে সংশয়। তবুও বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করার বিষয়টি চলমান রয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রোহিঙ্গাদের পরিবারভিত্তিক মতামত যাচাই বা সাক্ষাৎকার নেওয়ার প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে।

রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরতে চান কিনা এ বিষয়ে রোহিঙ্গাদের প্রথম পর্যায়ের সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে।

আর এ কাজটি শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসনের কার্যালয় ও জাতীসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) যৌথভাবে বাস্তবায়ন করছে।  

কক্সবাজার শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য তিন হাজার ৪৫০ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার ক্লিয়ারেন্স দিয়েছে, এদের ৯০ ভাগ বসবাস করেন টেকনাফের ২৬ নম্বর ক্যাম্পে। এছাড়া বাকিরা থাকেন ২৭ ও ২৪ নম্বর ক্যাম্পে। এদের মধ্যে অল্পসংখ্যক রোহিঙ্গা আছেন নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্পে। এই সবকটি ক্যাম্প কাছাকাছি হওয়ায় যাতায়াতের সুবিধার্থে ২৭ নম্বর ক্যাম্পের সিআইসি কার্যালয়ের পাশেই সাক্ষাৎকার নেওয়ার স্থান ঠিক করা হয়েছে। এখানেই সকাল থেকে সাক্ষাৎকার নেওয়ার কাজ চলছে।

তিনি জানান, পরিবারভিত্তিক সাক্ষাৎকার নেওয়া হচ্ছে এবং তা সম্পন্ন করা হবে দুই পর্বে। প্রথম পর্যায়ে পরিবার প্রধানের সাক্ষাতকার নেওয়া হবে। তিনি যদি যেতে সম্মত হন তাহলে যাওয়ার আগে আবার পরিবারের সব সদস্যর সম্মতি নেওয়া হবে।  

আবুল কালাম আরও জানান, রোহিঙ্গাদের সম্মতির উপর নির্ভর করবে কতজন রোহিঙ্গাকে প্রত্যাবাসন করা যাবে। তবে সরকারের সিদ্ধান্ত রোহিঙ্গাদের জোর করে পাঠানো হবে না।

মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি অনুযায়ী দিনে সর্বোচ্চ ৩০০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানো যাবে বলে জানান আবুল কালাম। তিনি বলেন, তালিকায় থাকা ৩ হাজার ৪৫০ জনের সবাই যদি যেতে সম্মত হন, তাহলে সময়সূচি ঠিক করে পর্যায়ক্রমে তাদের ফেরত পাঠানো হবে।

অন্যদিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প প্রস্তুত, রাস্তা-ঘাট তৈরি, নিরাপত্তা জোরদারসহ সব ধরনের ভৌত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে বলে জানান আবুল কালাম।
 
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও ইউএনএইচসিআর’র মধ্যকার সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী রোহিঙ্গারা রাখাইনে স্বেচ্ছায় ফিরতে চান কিনা সে বিষয়ে সাক্ষাৎকার নেবে ইউএনএইচসিআর। গত বছরের নভেম্বরে ইউএনএইচসিআর এ কাজটি শুরু করেছিল। তখন রোহিঙ্গারা ফিরতে রাজি না হওয়ায় ওই প্রক্রিয়া থেমে যায়।

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশে দুটি ট্রানজিট পয়েন্ট প্রস্তুত থাকলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে শুধু বান্দরবানের ঘুমধুমের স্থলপথেই রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো হবে। আপাতত দিনে ১৫০ জন রোহিঙ্গা ফেরত পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সম: ১১৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
এসবি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।