ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, লালমনিরহাটে যাত্রীদের বিক্ষোভ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়, লালমনিরহাটে যাত্রীদের বিক্ষোভ

লালমনিরহাট: ট্রেনের ভয়াবহ শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়া যাত্রীরা লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশনে বিক্ষোভ করেছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে লালমনিরহাট স্টেশন প্লাটফর্মে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। পরে রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজারের হস্তক্ষেপে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

রেলওয়ে কর্মকর্তা ও যাত্রীরা জানায়, রোববার (১৮ আগস্ট) রাত ৮টার ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ২৩ ঘণ্টা বিলম্বে সোমবার (১৯ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে প্লাটফর্মে পৌঁছায়। গন্তব্যে পৌঁছাতে যাত্রীরা রোববার রাত থেকে ট্রেনের জন্য অপেক্ষায় থেকে ফিরে যান। যাত্রীদের জানানো হয় সোমবার সকালে যাত্রা করবে ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি। সোমবার দিনভর অপেক্ষার পর সন্ধ্যা ৬টায় ট্রেন পৌঁছায় স্টেশনে। এরপর গাড়ি পরিষ্কার করতে না করতেই রংপুর এক্সপ্রেসের শাটল ট্রেন পৌঁছে যায়। তখন স্টেশন থেকে জানানো হয় রংপুর এক্সপ্রেসের শাটল ট্রেনটি আগে স্টেশন ত্যাগ করবে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রীরা।

এ সময় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা স্টেশনের প্লাটফর্মে বিক্ষোভ করে ঈদ স্পেশাল ট্রেন আগে ছেড়ে দেওয়ার দাবি জানায়। তখন স্টেশনের দায়িত্বে থাকা জিআরপি পুলিশ ও রেলওয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়ে রেলওয়ে কর্মকর্তারা অনেক চেষ্টা করে পরিস্থিতি শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান উভয় ট্রেন স্বল্প সময়ের ব্যবধানে স্টেশন ত্যাগ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাত্রীদের শান্ত করেন।  

রেলওয়ের একটি সূত্র জানায়, দুই ট্রেনই রাত ৮টার আগে স্টেশন ত্যাগ করেনি। রাত ৯টার মধ্যে দুইটি ট্রেনেই স্টেশন ত্যাগ করে।

ঢাকাগামী ঈদ স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী আসাদুল হক, আরিফ ও মিন্টু বাংলানিউজকে বলেন, রোববার রাতে অপেক্ষা করে ফিরে গেছি। কেউ কেউ প্লাটফর্মে রাত কাটিয়েছেন। সকাল থেকে রেলওয়ে থেকে বলা হচ্ছে কিছুক্ষণ পর ট্রেনটি আসবে। কিন্তু সেই অপেক্ষার শেষ হয় না। সন্ধ্যায় আসলেও শাটল ট্রেনটি শেষে পৌঁছে আগে ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিলেই যাত্রীরা বিক্ষোভ করে। রেলওয়ের দায়িত্বহীনতার কারণে যাত্রীদের হয়রানি হচ্ছে।

রেলওয়ের লালমনিরহাট বিভাগীয় ম্যানেজার মুহাম্মদ শফিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, লালমনি এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস ও ঈদ স্পেশাল ট্রেনটি ২৪ ঘণ্টা শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিলম্বে হলেও যাত্রীদের নিরাপদে পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে কাজ করছে রেলওয়ের সব সদস্যরা। আগে ছেড়ে যাওয়া নিয়ে যাত্রীদের যে বিক্ষোভ ছিল তা নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। দুই ট্রেনই স্বল্প সময়ের ব্যবধানে স্টেশন ত্যাগ করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad