ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে ৫২ কর্মকর্তা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০২ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে ৫২ কর্মকর্তা

সিলেট: সীমান্তে হত্যা বন্ধ, মাদক ও গরু পাচারসহ চোরাচালান বন্ধ ছঅড়া আন্তঃদেশীয় বেশ কিছু সমস্যা নিরসনে দ্বি-পক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিতে ভারতে গেছেন জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ দেশের বিভিন্ন খাতে কর্মরত ৫২ জন সরকারি কর্মকর্তা।

সফরকালে অনুষ্ঠেয় বৈঠকে বর্ডার হাট ও দুই দেশের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন নিয়েও ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন তারা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সিলেটের তামাবিল স্থল বন্দর হয়ে ডাউকি চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন এই সরকারি কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (২০ আগষ্ট) ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে দিনব্যাপী এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জামালপুরের জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির। সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, কুড়িগ্রাম, ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার জেলার প্রশাসক, পুলিশ সুপার, বিজিবি, পানি উন্নয়ন বোর্ড, কাস্টমস, মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ প্রশাসনের বিভিন্ন বিভাগ এবং সংস্থার কর্মকর্তা।
প্রতিনিধি দলের সদস্য সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সম্মেলনে সীমান্ত হত্যা বন্ধ, মাদক ও গরু পাচারসহ চোরাচালান বন্ধ, বর্ডার হাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বেশকিছু সীমান্ত সমস্যা নিয়ে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক আলোচনা হবে।

জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলামসহ সফরে সিলেটের ৮ কর্মকর্তা হলেন- পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন,  সিলেটের বিজিবি ৪৮  ব্যাটালিয়নের  পরিচালক লে. কর্নেল আহমেদ ইউসুফ জামিল, সিলেটের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবুল কালাম, সিলেটের সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়া, গোয়াইনঘাটের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিশ্বজিৎ কুমার পাল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার সুমাইয়া ফেরদৌস, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মলয় ভূষণ চক্রবর্তী।

সুনামগঞ্জের  ৮ কর্মকর্তা হলেন- জেলা প্রশাসক মো. আব্দুল আহাদ, পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান, সুনামগঞ্জের ২৮ বিজিবির পরিচালক লে. কর্নেল মো. মাকসুদুল আলম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ মকলেছুর রহমান, বিশম্ভরপুরের ইউএনও সমির বিশ্বাস,  সুনামগঞ্জ সদরের ইউএনও ইয়াসমিন নাহার রুমা।

নেত্রকোনা জেলার ৬ সদস্যের দলে আছেন- জেলা প্রশাসক মঈন উল ইসলাম, পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনশি,  নেত্রকোনার ৩১ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল মো. শাহজাহান সিরাজ, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, কলমাকান্দার ইউএনও মো. জাকির হোসেন,  দূর্গাপুরের ইউএনও ফারজানা খানম।

ময়মনসিংহের  জেলা প্রশাসক মো. মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার শাহ আবিদ হোসেন ছাড়াও প্রতিনিধি দলে রয়েছেন- ময়মনসিংহের ৩৯ বিজিবি পরিচালক লে. কর্নেল শহীদুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মুহাম্মাদ শের মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সমর কান্তি বসাক,  হালুয়াঘাটের ইউএনও রেজাউল করিম,  ধোবাউরার ইউএনও রফিকুজ্জামান, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক জাহিদ হোসেন মোল্লা।

শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব, পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজিম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম এহসানুল মামুন, ঝিনাইগাতির ইউএনও রুবেল মাহমুদ, জামালপুরের সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার (বিডব্লিউডিবি) মাজহারুল ইসলাম, বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান।

কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোছা. সুলতানা পারভীন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান, বিজিবি'র ১৫ ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল মো. আনোয়ারুল আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. হাফিজুর রহমান, রাজিবপুরের  ইউএনও মেহেদী হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মাসুদ হোসেন ও রৌমারী কাস্টমস এক্সসাইজ অ্যান্ড ভ্যাট সার্কেলের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা আফতারুল ইসলাম ও ঢাকার ভূমি রেকর্ড বিভাগের কানুনগো মো. আব্দুল কাদের।

জামালপুরের ৭ সদস্যের টিমে রয়েছেন, জেলা প্রশাসক আহমেদ কবির, পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ সোহেল মাহমুদ,  দেওয়ানগঞ্জের ইউএনও মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা, নারোটিকস বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ নেওয়াজ।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এনইউ/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।