প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে টাকার জন্য শারমিনকে হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন গ্রেফতারকৃত রাজু।
রোববার (১৮ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় হাকিমপুর উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে রাজুকে আটক করা হয়।
নিহত শারমিন আক্তার হাকিমপুর উপজেলার খাট্টাউছনা গড়িয়াল গ্রামের শাফি আকন্দের মেয়ে। তিনি ঢাকার গাবতলী এলাকায় থেকে একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করতেন।
হাকিমপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চন্ডিপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হত্যাকাণ্ডের আলামতসহ রাজুকে আটক করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার ঘটনা স্বীকার করে রাজু জানিয়েছেন, গ্রামীন ব্যাংক থেকে তিনি ৩০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। সেই ঋণের কিস্তির ৮৫০ টাকা পরিশোধ করার জন্য নিজ রিকশার যাত্রী শারমিনকে হত্যা করেন তিনি। শারমিন রিকশায় একা থাকায় এবং তার ব্যাগে টাকা আছে ভেবেই তিনি এ হত্যার পরিকল্পনা করেন।
রাজু আরও জানান, সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ার ভয়ে তিনি শারমিনকে বিকল্প রাস্তা হাসপাতাল রোড দিয়ে নির্জন মাঠে নিয়ে গলায় ফাঁস দেন এবং জমির কাদায় ঠেসে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ব্রিজের নিচে ফেলে দেন।
ওসি আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার বৈগ্রাম সড়কের ব্রিজের নিচে কাদার মধ্যে পুঁতে রাখা অবস্থায় শারমিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সুরতহালে শারমিনকে গলায় ফাঁস (শ্বাসরোধ) দিয়ে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় শারমিনের বাবা শাফি আকন্দ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হাকিমপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হাকিমপুর থানার ওসি (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা বাংলানিউজকে জানায়, সিসি টিভির ফুটেজের ক্লু ধরে হত্যাকারীকে শনাক্ত করা হয় এবং তার বাড়ির শোবার ঘরের খাটের নিজ থেকে নিহত শারমিনের কাপড়ের ব্যাগ উদ্ধার করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
আরএ