ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনে নাশকতার টার্গেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
রাষ্ট্রীয় কাঠামো পরিবর্তনে নাশকতার টার্গেট র‌্যাব হেফাজতে আটকরা ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: গণতান্ত্রিক কাঠামোকে উৎখাত করে উগ্রবাদী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে সশস্ত্র সংঘাত ও নাশকতার টার্গেট করেছিল ‘আল্লাহর দল বা আল্লাহর সরকার’ নামে জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা। সংগঠনটি তাদের সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত বা চাকরিচ্যুত সদস্যদের দলে ভেড়ানোর পরিকল্পনা করে।

রোববার (১৮ আগস্ট) গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সংগঠনটির নেতৃত্বে থাকা ইব্রাহিম আহমেদ হিরোসহ (৪৬) চার সদস্যকে আটক করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটকরা হলেন- আব্দুল আজিজ (৫০), শফিকুল ইসলাম সুরুজ (৩৮), রশিদুল ইসলাম (২৮)।

সোমবার (১৯ আগস্ট) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান।

তিনি বলেন, জঙ্গি মতিন মেহেদী মমিনুল ইসলাম ওরফে মতিন মাহবুবের নেতৃত্বে ১৯৯৫ সালে ‘আল্লাহর দল’ নামে জঙ্গি সংগঠনটি গড়ে ওঠে। ২০০৪ সালে শেষের দিকে তিনি সংগঠনটিকে জেএমবির সঙ্গে যুক্ত করেন। পরে সারাদেশে সিরিজ বোমা হামলায়ও সংগঠনটির সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তিতে জেএমবি নেতৃত্ব শুন্য হলে জঙ্গি মতিন মেহেদী জেএমবি ত্যাগ করে তার মূল সংগঠনটি পুনর্গঠনের চেষ্টা করেন। মতিন মেহেদী ২০০৭ সালে গ্রেফতার হলেও তাকেই আমির বা তারকা হিসেবে মান্য করে এ জঙ্গি সংগঠনটি নতুন করে পরিচালিত হচ্ছিলো।

তিনি আরও বলেন, স্বাভাবিক জঙ্গি সংগঠনের তুলনায় এদের অবকাঠামো বিন্যাস কিছুটা ভিন্ন। গ্রাম পর্যায়ে নায়ক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পদ তারকা হিসেবে তারা চিহ্নিত করেছে। এদের অধিনায়ক, উপ-অধিনায়ক, অতিরিক্ত অধিনায়ক পদ রয়েছে। তারা সদস্যদের সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ঝামেলা এড়াতে বিভিন্ন বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের সংগঠনে যুক্ত করার চেষ্টা করে আসছিল। সম্প্রতি বিজিবির চাকরিচ্যুত সদস্যদের দলের টানতে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা করছিল। তবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নজরদারির ফলে তাদের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।

এমরানুল হাসান বলেন, ২০০৪ সালে এ জঙ্গি সংগঠনের আট জন এবং সাম্প্রতিক সময়ে খুলনা থেকে তিনজন, ঢাকা থেকে চারজন, রংপুর থেকে তিনজনসহ মোট ১৮ জন  সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

সর্বশেষ আটক চার জনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কার্যক্রমের বিষয়ে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে বলেও জানান র‌্যাবের কর্মকর্তা এমরানুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
পিএম/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।