ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঢাকা-খুলনা রেলরুটে ৮ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক

উপজেলা করসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
ঢাকা-খুলনা রেলরুটে ৮ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক ফাইল ছবি

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় দপ্তরের আওতায় ঈশ্বরদী-খুলনা রেলরুটের ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর রেলস্টেশনে ৭১৬ নম্বর কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস'র একটি বগি লাইনচ্যুত হওয়ার ৮ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। ট্রেনের 'ঝ' বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে খুলনার সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।

রোববার (১৮ আগস্ট) দিনগত রাত আড়াইটার দিকে লাইনচ্যুত 'কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস' ট্রেনের "ঝ" বগি ঈশ্বরদী থেকে একটি উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার করে। রাত তিনটার দিকে এ রেলপথে চলাচল শুরু হয়।

তার আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী ৭১৬ নম্বর  কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে ঢাকা-খুলনা রেলরুটের ঝিনাইদহ রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে খুলনা-রাজশাহী-ঢাকা-সৈয়দপুরগামী সব ধরনের ট্রেন এবং  খুলনা-ঢাকা ও রাজশাহীগামীসহ উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্হাপক (ডিআরএম) আহসান উল্লাহ ভূইয়া বাংলানিউজকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।      

পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আবদুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ঢাকা-রাজশাহী-খুলনা রেলরুটের ঝিনাইদহে ৭১৬ নং কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস এর একটি বগি স্টেশনের হোম সিগন্যালে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। এতে সারাদেশের সঙ্গে খুলনার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। ঈশ্বরদী জংশন স্টেশন থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে রাত ১২টায় পৌঁছে লাইনচ্যুত ট্রেনটিকে আড়াইঘণ্টা পর উদ্ধার করে। রাত আড়াইটার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ হয়। পরে রাত তিনটায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে বলে তিনি জানান।
                               
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ট্রেন কন্ট্রোলার শহীদুল ইসলাম পিন্স বাংলানিউজকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৬ নম্বর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনটি নির্ধারিত সময় থেকে ১৩ ঘণ্টা বিলম্বে সফদারপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রাত ৩টায় ছেড়ে গেছে। চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী ৭২৮ নম্বর নির্ধারিত সময় থেকে ১১ ঘণ্টা বিলম্বে চুয়াডাঙ্গা রেলওয়ে স্টেশনে থেকে রাত ৩টায় খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এছাড়াও পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী রকেট মেইল ট্রেনটি হালসা রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৮ ঘণ্টা দেরিতে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।

পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) আহসান উল্লাহ ভূইয়া বাংলানিউজকে, এই রুটে দুর্ঘটনার পর কোনো ট্রেন চলাচল করতে পারেনি। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েন শত শত যাত্রী।  ঈশ্বরদী থেকে উদ্ধারকারী ট্রেন এসে উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। উদ্ধার কাজ শেষ হলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে দু'টি ট্রেন নির্ধারিত সময় থেকে বেশ কিছু সময় বিলম্বে ট্রেন চলাচল করবে। সপ্তাহের বন্ধের দিন আসা না পর্যন্ত দু'টি আন্তঃনগর ট্রেন নির্ধারিত সঠিক সময়ে চালানো সম্ভব হবে না।

সন্ধ্যা সাতটার দিকে রাজশাহী-ঈশ্বরদী-খুলনা রেল রুটের কোটাচাঁদপুর স্টেশনের মূলপয়েন্টে রাজশাহী থেকে ছেড়ে যাওয়া খুলনাগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের একটি বগির চারটি চাকা লাইনচ্যুত হয়। এতে সারা দেশের সঙ্গে খুলনার রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।