এর আগে শুক্রবার (১৬ আগস্ট) তিনি লিখেছিলেন 'সকল অভিভাবককে তাদের উঠতি বয়সী সন্তানের খোঁজ-খবর রাখার অনুরোধ করছি।
ইভটিজার হিসেবে আটক হলে জেল জরিমানা হতে পারে'।
শনিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসকের নিজস্ব ফেসবুক আইডিতে বলা হয়েছে ‘ইভটিজিং বিরোধী ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান শুরু করা হয়েছে। এটি চলতে থাকবে। সঙ্গে সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত গতিতে মোটরসাইকেল চালনা, নিরিবিলি বসে গাঁজা বা মাদক সেবন ইত্যাদি অভিযানও চলবে। যারা ইভটিজিংয়ের শিকার তারা ভয় না পেয়ে থানায় বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) অবহিত করুন। আপনি প্রতিবাদ শুরু করলে আরও অনেকে সাহসী হবে’।
এদিকে, রাজশাহী জেলা প্রশাসকের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন মহানগরবাসী। শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত রাজশাহী জেলা প্রশাসকের ওই স্ট্যাটাসে সহস্রাধিক লাইক পড়েছে। এছাড়া কমেন্টস করেছেন প্রায় ৪শ'জন। আর দুই শতাধিক ফেসবুক ইউজার স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেছেন।
এর আগে স্ত্রীকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বখাটেদের মারধরের শিকার হন রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) এক শিক্ষক। গত ১০ আগস্ট মহানগরীর সাহেব বাজার মণি চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনা নিয়ে ওই শিক্ষক ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দেন, যা সম্প্রতি ভাইরাল হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষক ঘটনার ৭ দিন পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে মামলা দায়ের করা হয়।
রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানায় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাদী হয়েছে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার পর নড়েচড়ে বসেছে থানা পুলিশ। বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এসএস/এএটি