ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

২২ দফায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
২২ দফায় ১১ ঘণ্টা বন্ধ ছিল বঙ্গবন্ধু সেতুর টোল আদায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজট। ফাইল ফটো

টাঙ্গাইল: বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্তের (সিরাজগঞ্জের দিকে) যানজট পূর্ব প্রান্তের (টাঙ্গাইলের দিকে) টোলপ্লাজা পর্যন্ত এসে যাওয়ায় ঈদের আগে তিন দিন ২২ দফায় প্রায় ১১ ঘণ্টা বঙ্গবন্ধু সেতুতে যান চলাচল বন্ধ ছিল। এ কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে তীব্র ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষেরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় আটকে থাকায় অতিষ্ঠ হয়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন তারা। মহাসড়কের বিভিন্ন জায়গায় আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন বহু মানুষ। 

পুলিশ, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ, যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহন টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত চারলেন সড়কের সুবিধা পেয়েছে। এলেঙ্গার পর থেকেই দুই লেনের মহাসড়ক।

তাই, সেখানে যানবাহনের গতি কমে যায়।  

আবার, সেতু পার হয়ে সিরাজগঞ্জের দিকে কড্ডার মোড়, নলকা সেতু ও হটিকমরুল মোড় থেকে শুরু হয় যানজট, যা দ্রুতই বঙ্গবন্ধু সেতু অতিক্রম করে পূর্ব প্রান্ত পর্যন্ত এসে যায়। এতে, সেতুতে তখন আর গাড়ি উঠতে পারেনি। ফলে, সেতুর পূর্ব প্রান্তে টাঙ্গাইলের দিকেও যানজট দীর্ঘ হতে থাকে।  

পুলিশ সূত্র জানায়, পশ্চিম প্রান্তের এ যানজট পূর্ব প্রান্তের টোলপ্লাজা পর্যন্ত চলে আসায় ঈদের আগের দিন (১১ আগস্ট) সাত দফায় তিন ঘণ্টা, শনিবার (১০ আগস্ট) নয় দফায় ৫ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট ও শুক্রবার (৯ আগস্ট) ছয় দফায় ১ ঘণ্টা ৫০ মিনিট টোল আদায় বন্ধ ছিল। দফায় দফায় টোল আদায় বন্ধ হওয়ায় যানজট সেতুর পূর্ব প্রান্ত থেকে বাড়তে বাড়তে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত প্রায় ৫০ কিলোমিটার ছাড়িয়ে যায় কখনো কখনো।
 
এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা। যানজটে আটকা থেকে তীব্র গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকেই। নারী যাত্রীদের  মহাসড়কের পাশের বাড়িঘরে গিয়ে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা একই জায়গায় আটকে থেকে একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন যাত্রীরা। বিক্ষুব্ধরা পুলিশ ও সাংবাদিকদেরও লাঞ্ছিত করেন। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে টাঙ্গাইল শহর বাইপাসের ঘারিন্দা, বিক্রমহাটি, কালিহাতী উপজেলার পৌলিসহ বিভিন্ন জায়ঘায় বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে দেন তারা।
 
বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা সূত্র জানায়, ঈদে যানজট এড়াতে টোল আদায়ের জন্য একটি অতিরিক্ত টোলবক্স চালু করা হয়। কিন্তু, সিরাজগঞ্জের হাটিকমরুল মোড়, নলকা সেতু দিয়ে গাড়ি টানতে না পারায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে চাপ বেড়ে যায়।

বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল পাভেল বাংলানিউজকে বলেন, সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি টানতে না পারায় যানজটের কারণে সেতুতে গাড়ি ওঠানো সম্ভব হয়নি। তবে, টোলপ্লাজা সবসময়ই খোলা ছিল। এসময় মোটরসাইকেল পার করা হয়েছে।  

যানজট প্রসঙ্গে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বাংলানিউজকে বলেন, সিরাজগঞ্জের দিকে যানজট সৃষ্টি হয়ে তা সেতু পার হয়ে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চলে আসে। এ কারণে ওই দিকেও যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে টাঙ্গাইল অংশে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন ছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।