ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

শোকদিবসে থাকবে সমন্বিত নিরাপত্তা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
শোকদিবসে থাকবে সমন্বিত নিরাপত্তা সাংবাদিকদের ব্রিফ করছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

ঢাকা: জাতীয় শোকদিবস (১৫ আগস্ট) কেন্দ্র করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ও বনানী কবরস্থান এলাকা ঘিরে নিশ্ছিদ্র সমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নেওয়া হয়েছে। শোকদিবসের নানা অনুষ্ঠান যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে ঢাকা মহানগরীজুড়ে বলবৎ থাকবে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তাব্যবস্থা।

বুধবার (১৪ আগস্ট) ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকার নিরাপত্তাব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, শোকদিবসে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে বিভিন্ন শেণী-পেশার মানুষ ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।

সকালে সবার আগে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি শ্রদ্ধা জানাবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে টুঙ্গীপাড়া যাবেন।

এ শ্রদ্ধা নিবেদন ঘিরে ডিএমপি ৩২ নম্বর ও বনানী কবরস্থান ঘিরে নিশ্ছিদ্র সুসমন্বিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। পুরো এলাকা সিসিটিভি ক্যামেরায় সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণের আওতায় থাকবে। ডিএমপির ডগ স্কোয়াডের মাধ্যমে পুরো এলাকা সুইপিং করা হবে। ধানমন্ডি লেকেও পুলিশের নৌ-প্রহরা থাকবে।

৩২ নম্বরের চারপাশে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ব্যারিকেড থাকবে। যথাযথ তল্লাশির মধ্য দিয়ে ব্যারিকেড অতিক্রম করে জনাসাধারণকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে। ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রবেশের সময় গেটে পুনরায় আর্চওয়ের মাধ্যমে যথাযথ তল্লাশির মাধ্যমে সবাইকে ঢুকতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি ও ভিভিআইপিরা ধানমন্ডি ২৭ নম্বর হয়ে পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রবেশ করবেন এবং শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পূর্ব পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ৩২ নম্বর এলাকা সর্বসাধারণের জন্য উন্মূক্ত করে দেওয়া হবে। জনসাধারণ সবাই রাসেল স্কয়ার অর্থাৎ পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করে পশ্চিম পাশ দিয়ে বের হয়ে যাবেন।

শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় অযথা ভিড় না করে যত দ্রুত সম্ভব স্থান ত্যাগ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ের আগে কেউ চলে এলে সবাই কলাবাগান মাঠে অপেক্ষা করবেন। ভিভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সবাইকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

এছাড়া, মহানগরীজুড়ে অজস্র কর্মসূচি ও কাঙালিভোজের আয়োজন হবে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, শোকদিবসের সব আয়োজন যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনে নিরাপত্তার স্বার্থে মহানগরীজুড়ে সব আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে ডিএমপি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
পিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।