শহরের চামড়া পাইকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকার ট্যানারিগুলোতে তাদের পাওনা রয়েছে প্রায় আড়াই কোটি টাকা। গত বছরের টাকা পরিশোধ করেনি তারা।
সৈয়দপুর শহরের মিস্ত্রীপাড়া চামড়া আড়তের মহাজন আজিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানি ঈদের দিন সামান্য পুঁজি নিয়ে চামড়া কিনেছি। বাজারে চামড়ার দাম কম, ধস নেমেছে চামড়া খাতে। তবুও নিচে ২০০-৩০০ টাকায় চামড়া কিনে মজুদ করেছি। এসব চামড়া ঢাকায় পাঠানোর অপেক্ষা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাঠে নামেনি ট্যানারি মালিকেরা।
এদিকে, সৈয়দপুর শহরের নতুন বাবুপাড়ার চিকিৎসক খায়রুল বাশার তার দুটি কোরবানির গরুর চামড়া মাদ্রাসায় দান করেছেন। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, চামড়ার টাকা গরীবের হক, ইচ্ছে ছিল চামড়া বেচে বেশি টাকা পেলে তা গরীবদের দান করবো। কিন্তু দাম না মেলায় চামড়া দুটি মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছি। আমার মতো অনেকই এভাবে পশুর চামড়া এতিমখানা-মাদ্রাসায় দান করেছেন।
মহাজনদের একটি পক্ষ অভিযোগ করে বলেন, ঢাকার মালিকেরা সিন্ডিকেট করায় এবার চামড়া বাজারে ধস নেমেছে। কিছুদিনের মধ্যে ট্যানারি মালিকেরা কমদামে এসব চামড়া কিনে নেবেন। এদিকে, চামড়ার দাম কম হওয়ায় এর একটা বড় অংশ ভারতে পাচার হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কিছু খুচরা চামড়া ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এনটি