ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন হন ইকরাম

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় খুন হন ইকরাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল ডিগ্রি কলেজের একাদশ বর্ষের ছাত্র মো. ইকরাম হোসেনকে (১৭) খুন করে বখাটে শিমুল।

ইকরামকে হত্যার পর শিমুল মরদেহটি বস্তাবন্দি করে খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে। খবর পেয়ে রোববার (১১ আগস্ট) সকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহটি উদ্ধার করে।

মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে জেলা পুলিশের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন- সরাইল উপজেলার বড্ডাপাড়া এলাকার আবুল ফজলের ছেলে ইমরানুল হাছান সাদী (১৯), বারজীবিপাড়া এলাকার মৃত মোতালিব মিয়ার ছেলে নাজিম উদ্দিন (৫৫) ও রফিক মিয়ার স্ত্রী নাজমা বেগম (৪০)।

মৃত ইকরাম হোসেন সরাইল উপজেলার বর্ডার বাজার এলাকার শহিদ মিয়ার ছেলে। তিনি উপজেলার বারজীবিপাড়ায় তার খালাতো বোন লাভলি আক্তারের বাড়িতে থেকে পড়ালেখা করতেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, লাভলির মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিনও ইকরামের সঙ্গে কলেজে পড়তেন। সুমাইয়াকে প্রতিবেশি রবিউল্লার ছেলে শিমুল প্রায়ই ইভটিজিং করতেন। ইকরাম প্রতিবাদ করার পর ২০১৮ সালের ১৩ অক্টোবর তৎকালীন সরাইল উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে ইসরাত বখাটে শিমুলকে আট মাসের কারাদণ্ড দেন। তখন থেকেই ইকরামের প্রতি ক্ষোভ তৈরি হয় শিমুলের। গত ঈদুল ফিতরের আগে সাজা ভোগ করে কারামুক্ত হন শিমুল।

এছাড়াও শিমুল কোনো এক সময় ইকরামের খালাতো বোনের ছেলে সাদীকে মারধরও করেছিলেন। সাদী প্রায়ই ইকরামের সঙ্গে ঘুমাতেন। তাই প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য শিমুল সাদীকে উষ্কানি দেয়।  

মাস দুয়েক আগে ক্ষোভ মেটানোর জন্য শিমুল ও সাদী একটি বিলে দেখা করার জন্য ইকরামকে ডেকে নিয়ে আসে। তখনই শিমুল ও সাদী ইকরামকে হত্যার পরিকল্পনা করে।

গত ১০ আগস্ট রাতে সাদী দরজা খুলে দিলে শিমুল ও তার ভাই সোহাগ দা, ছুরি এবং বস্তাসহ ঘরে ঢোকে। তখন সাদী ইকরামের পা চেপে ধরেন আর শিমুল ও সোহাগ দা, ছুরি এবং ঘরে থাকা বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। পরবর্তীতে ইকরামের মরদেহ গুম করার জন্য প্লাস্টিকের বস্তায় বেঁধে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে ভোর হয়ে যাওয়ার  কারণে মরদেহ গুম করতে না পেরে ঘরেই লুকিয়ে রাখে।  

সকালে ইকরামকে ঘুম থেকে জাগানোর জন্য লাভলী ঘরের দরজা খুলে দেখেন মেঝেতে বস্তাবন্দি দুই পা বের হয়ে আছে। তখন লাভলি চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে ইকরামের মরদেহ দেখতে পান।  

এ ঘটনায় পরদিন মৃত ইকরামের বাবা শহিদ মিয়া বাদী হয়ে সরাইল থানায় মামলা করেন। পরবর্তীতে পুলিশ মামলার এজহারনামীয় আসামি সাদ, নাজিম উদ্দিন ও নাজমাকে গ্রেফতার করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।