ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

মানুষ যে আস্থা রেখেছে তার মর্যাদা রক্ষা করবো

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
মানুষ যে আস্থা রেখেছে তার মর্যাদা  রক্ষা করবো ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশল বিনিময় করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য।

ঢাকা: যে আস্থা ও বিশ্বাস নিয়ে দেশের মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মর্যাদা রক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।

সোমবার (১২ আগস্ট) ঈদুল আজহা উপলক্ষে সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একথা বলেন।  

প্রধানমন্ত্রীর সরকরি বাসভবন গণভবনে তিনি এ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।


 
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়া আমার লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছি। আমি সব কিছু উৎসর্গ করে এদেশের জনগণের ভাগ্য গড়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। জাতির পিতা এদেশের মানুষের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। এদেশের মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন করতে পারলে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।  

‘আজ দেশের উন্নয়নের যে অগ্রযাত্রা সেটা অব্যাহত থাক। মানুষ উন্নত, সুন্দর জীবন পাক, কেউ যেন খাটো করে দেখতে না পারে, এদেশের মানুষ সর্বত্র মর্যাদা পায় সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। দেশে মানুষ যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখে আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে সেই আস্থার মর্যাদা আমি রাখবো। সে দায়িত্ব দেশের মানুষ তুলে দিয়েছে সেই দায়িত্ব যাতে পালন করতে পারি সেই দোয়া চাই। ’

এসময় প্রধানমন্ত্রী নিজের চোখের অপারেশন প্রসঙ্গে বলেন, বয়স হয়েছে, বুড়ো হয়ে গেছি। কয়েকদিন আগে আমার চোখের সানি অপারেশন করাতে হয়েছে। এখনও পাঁচবার করে চোখে ওষুধ নিতে হচ্ছে।  

বক্তব্যের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী দেশবাসী ও প্রবাসী বাঙালি যারা আছেন সবাইকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানান। সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র মুসলিম উম্মাকেও ঈদের শুভেচ্ছা জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে সব শহীদের আত্মত্যাগের প্রতি তিনি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মহান আত্মত্যাগের মহিমা নিয়েই ঈদ এসেছে। জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান যিনি আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। সেই মহান নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। এখন আগস্ট মাস চলছে, ১২ তারিখ। এই দিনও তিনি বেঁচে ছিলেন। আমরা বিদেশে ছিলাম। ১৩ আগস্ট সবশেষ আমাদের সঙ্গে কথা হয়। ১৫ আগস্ট আমার বাবা, মা, ভাইসহ সবাইকে হত্যা করা হয়। আগস্ট মাস আমাদের জন্য কষ্ট, বেদনা নিয়ে আসে।  

‘আপনারা তাদের সবার জন্য দোয়া করবেন। আজকের এই দিনে আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে প্রত্যেকেই যাতে দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সেই কামনা করছি। ’ 

এসময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ পরিবারের সদস্যরা। শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, দলের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য কাজী আকরাম উদ্দিন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯ 
এসকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।