ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ২ শতাধিক

আবাদুজ্জামান শিমুল, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে ঢামেক হাসপাতালে ২ শতাধিক ঢামেক হাসপাতালে এসে ভিড় করেন আহতরা, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়ে রাজধানীসহ আশপাশের জেলার দুই শতাধিক লোক এসে চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে। এছাড়া প্রতিবছরই কোরবানি দেওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত হন অনেক লোক। অসচেতনতার কারণে এবারও এর ব্যতিক্রম নয়।

কোরবানির সময় চাকু দিয়ে কারও হাত, কারও পা এমনকি কারও শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে যায়। অথবা কোরবানি দিতে গিয়ে গরুর শিংয়ের আঘাত পেয়ে অনেকে আহত হয়েছেন।

সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে কোরবানি দেওয়া শুরু হলে এ পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে অনেকে আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৯টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২০০ জন লোক কোরবানির দেওয়ার সময় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কুমিল্লার তিতাস উপজেলার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন (৩৫) বাংলানিউজকে বলেন, নিজেদের গরু কোরবানি দেওয়ার সময় অসাবধানতাবশত ছুরি হাতের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে আমার বা পায়ের অনেক অংশ কেটে যায়। প্রথমে তিতাস উপজেলার একটি হাসপাতালে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে রক্ত বন্ধ না হওয়ায় ঢামেক হাসপাতলে পাঠানো হয়।

খিলগাঁও গোড়ান এলাকার মাদ্রাসার ছাত্র জিহাদুল ইসলাম বলেন, এলাকায় একটি গরু কোরবানি দেওয়ার সময় সেটি হঠাৎ লাফ দিয়ে উঠে। এতে আমার হাতের ওপর দিয়ে চলে যায় চাকু। বৃদ্ধাঙ্গুলের অনেক অংশ কেটে যায়।

ঢামেক হাসপাতালের সূত্র জানায়, ঢাকার হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, রামপুরা, বনশ্রী, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ অনেক জায়গা থেকেই কোরবানি দেওয়ার সময় লোকজন আহত হয়ে হাসপাতলে আসছে।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, সকাল ৮টার পর থেকেই এমন ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে আসছে মানুষ। এ পর্যন্ত প্রায় ২০০ ছাড়িয়ে গেছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকেরই হাত কাটা। আমাদের চিকিৎসক তাদের দ্রুত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।

এছাড়া আহতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বেশির ভাগ লোকই নিজেদের কোরবানির গরু কাটার সময় অসাবধানবশত হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ কেটে গিয়ে আহত হয়েছেন।

আবাসিক সার্জন আলাউদ্দিন এও বলেন, নিজেদের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কোরবানি দেওয়ার সময় আহত হয়ে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার অনেক মানুষ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত হাসপাতালে আসেন চিকিৎসা নিতে। প্রতিবছরই এভাবে আসেন। এবারও এর ব্যতিক্রম নয়, আসতে শুরু করেছে অনেকে। এছাড়া মানুষ একটু সচেতন হলেই এ দুর্ঘটনা কমানো যেতো।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
এজেডএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।