ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আমভর্তি পিকআপে ফেনসিডিলের চালান, আটক ৫

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
আমভর্তি পিকআপে ফেনসিডিলের চালান, আটক ৫ জব্দ ফেনসিডিল। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় ফলের আড়তের মালিক যুগন হাওলাদার। এ ব্যবসাকে সামনে রেখে দীর্ঘদিন ধরে মাদক চোরাকারবারি চালিয়ে আসছিলেন তিনি।

দেশের সীমান্ত এলাকা থেকে আমের আড়ালে মাদকের চালান এনে রাজধানীর মাদক ব্যবসায়ীদের সরবরাহ করতেন, যাদের অধিকাংশই ফল ব্যবসায়ী।

রোববার (১১ আগস্ট) গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমভর্তি পিকআপে ফেনসিডিলের চালানসহ ৫ জনকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১)।

আটকদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীতে ফল ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেটের কথা জানায় র‌্যাব।

আটকরা হলেন- সেলিম বেপারী, শিপন মাদবর, সুমন ঢালী, বাদশা মিয়া ও মায়া খাতুন। এ সময় ১ হাজার ৭৭০ বোতল ফেনসিডিলের চালানসহ আমের পিকআপটি জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন ঢাকা-ময়মানসিংহ মহাসড়কে আমভর্তি পিকআপ আটক করে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় পিকআপে লুকানো অবস্থায় ১ হাজার ৭৭০ বোতল ফেনসিডিলের চালানসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে।

আটকদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার (সিপিসি-২) সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সেলিম বেপারী পেশায় একজন ফল বিক্রেতা। তিনি প্রায় দীর্ঘ ৮ বছর ধরে ফল ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। মহাখালীর জনৈক যুগন হাওলাদারের মাধ্যমে সেলিম মাদক ব্যবসা শুরু করে। সদরঘাটের ফলের আড়ৎদার যুগন হাওলাদার চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আমের আড়ালে মাদক দ্রব্য ঢাকায় এনে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করেন, যাদের অধিকাংশই ফল বিক্রেতা।

আটক সুমন যুগন হাওলাদারের অন্যতম সহযোগী। যুগন হাওলাদার ফলের আড়ত নিয়ে ব্যস্ত থাকায় সুমন তার মাদক ব্যবসা দেখাশোনা করতেন। আটক শিপন পেশায় একজন পোল্ট্রি খামারি। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পোল্ট্রি ফিডের আড়ালে মাদক পরিবহন ও ব্যবসা করে আসছিলেন।

বাদশা মিয়া পেশায় একজন পিকআপ চালক। তিনি বিভিন্ন পণ্য পরিবহনের আড়ালে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মাদকের চালান সরবরাহ করতেন। এজন্য চালানপ্রতি ৮-১০ হাজার টাকা পেতেন তিনি। মায়া খাতুন একজন গৃহীনি। তিন বছর ধরে অর্থ উপর্জনের মাধ্যম হিসেবে মাদক ব্যবসা বেছে নেন তিনি।

এএসপি সালাউদ্দিন আরও জানান, আটক পাঁচ জনের সবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জে। তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাদক ব্যবসায় জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
পিএম/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad