ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাটে ক্রেতার ঢল, গরু বেচাকেনায় ভাটা

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
হাটে ক্রেতার ঢল, গরু বেচাকেনায় ভাটা হাটে ক্রেতার ঢল, কিন্তু সেভাবে নেই বেচাকেনা, ছবি: মুজিবুর

ঢাকা: পবিত্র কোরবানির ঈদের বাকি মাত্র একদিন। অথচ এ হিসেবে কোরবানির পশু বেচাকেনা কম। শনিবার (১০ আগস্ট) বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাবতলী পশুর হাটে ঢল নামে ক্রেতার। হাটে গরুও জমেছে পর্যাপ্ত। দর-কষাকষি চরমে। কিন্তু সেভাবে বেচাকেনা নেই।

ক্রেতা-বিক্রেতাদের সেই পুরানো অভিযোগ। ক্রেতারা বলছেন, দাম বেশি চাওয়া হচ্ছে গরুর।

বিক্রেতারা বলছেন, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় পশুর দাম বেশি পড়ছে অন্যান্য বারের তুলনায়।

ফরিদপুর নগরকান্দা নাওডোবার ইমারত হোসেন ব্যাপারী। গত ০৪ আগস্ট (রোববার) হাটে ১২টি গরু তুলেছিলেন। প্রতিটি গরুর দাম এক থেকে চার লাখ টাকার মধ্যে। অথচ এখনও একটি গরুও বিক্রি করতে পারেননি ইমারত।

বাংলানিউজকে ইমারত বলেন, ভাই মন খারাপ। একটি গরুও বেচতে পারিনি। কিছুই বুঝতে পারছি না। মানুষের হাতে টাকা নেই, না-কি কোরবানি দেশে কম হচ্ছে। কিছুই বুঝতে পারি না।

হাটের অনেক ব্যাপারী মনে করছেন, গত দুই কোরবানির ঈদে শেষ সময়ে কম দামে গরু কিনেছেন ক্রেতারা। এই আশায় তারা গরু কিনছেন না আগে।

ফরিদপুর সদরের বাবু ব্যাপারী। হাটে ২৪টি গরু তুলেছেন। অথচ বিক্রি করেছেন মাত্র চারটি।

বাবু ব্যাপারী বাংলানিউজকে বলেন, ক্রেতারা বাজারে শুধু দর-কষাকষি করছেন। কেনেন না। ৩০০ টাকা কেজি দরে মাংস খাওয়ার আশায় আছেন হয়তো। কোরবানির পশু, ছবি: মুজিবুরতবে ব্যাপারীদের দাবি উড়িয়ে দিচ্ছেন ক্রেতারা। ক্রেতাদের দাবি অধিক লাভের আশায় গরুর দাম আকাশচুম্বী চাওয়া হচ্ছে।

শনিবার সকাল থেকে হাটে ঘুরছেন মিরপুর-১২ নম্বরের ক্রেতা মাসুম পারভেজ। তিনি বলেন, ব্যাপারী গরু ছাড়েন না। তারা বেশি দাম চেয়ে গরুর রশি ধরে রাখছে। ৮০ হাজার টাকার গরুর দাম বলে এক লাখ ২০ হাজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০১৯
এমআইএস/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।