ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

শিমুলিয়ায় সিবোট-লঞ্চে যাত্রীদের চাপ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
শিমুলিয়ায় সিবোট-লঞ্চে যাত্রীদের চাপ

মুন্সিগঞ্জ: ঈদে ঘরমুখো মানুষের চাপ বেড়েছে মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া লঞ্চ ও সিবোট ঘাটে। সকাল থেকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকা গাড়ির চাপ কমে এসেছে এবং লঞ্চ ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলের ৪টার দিকে সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া ঘাটে শতাধিক গাড়ি ও ২০টি যাত্রীবাহী বাস পদ্মা নদী পারের অপেক্ষায়।  

জানা গেছে, রাজধানী ছেড়ে সকাল থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসতে শুরু করেছে যাত্রীরা।

এখান থেকে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে পৌঁছাতে কম সময়ের কারণে যাত্রীদের আগ্রহ বেশি সিবোটে। সকালে পদ্মা কিছুটা উত্তাল থাকায় অনেক যাত্রী ফেরিতে করে পার হয়েছেন। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ঘরমুখো মানুষের বাড়তি চাপ অব্যাহত লঞ্চ ও সিবোট ঘাটে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বেশি ছিল যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা। তবে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক থাকার কারণে এ চাপ কমে আসে।  

অভিযোগ করে কাঁঠালবাড়ী ঘাটগামী যাত্রীরা বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট ঘাটে অবস্থানকালে যাত্রীদের থেকে নির্ধারিত ভাড়া নেওয়া হয়। তবে অনেক সময় তাদের অনুপস্থিতিতে যাত্রীদের থেকে ১৮০ টাকার ভাড়া ২০০/২২০ পর্যন্ত আদায় করা হয়।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) আব্দুল আলিম বাংলানিউজকে জানান, পদ্মায় তীব্র ঢেউ এবং বৈরী আবহাওয়া নেই। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে ১৭টি ফেরি স্বাভাবিকভাবে চলাচল করছে। সকাল থেকে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন না ঘটায় ঈদে গাড়ির চাপ সামাল দেওয়া গেছে। যাত্রীরা ভোগান্তি ছাড়াই চলাচল করছে।

লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাবিরুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দুপুরের দিকে সিবোট ঘাটে ১৮০ টাকার ভাড়া ২০০ টাকা নেওয়ার কারণে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ১৩ জন যাত্রীদের অতিরিক্ত ২০ টাকা ফেরত দেওয়া হয়। শিমুলিয়া ঘাটে ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজ করছেন। যাত্রীরা যাতে নির্বিঘ্নে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারেন সেদিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।  

বিআইডব্লিউটিএ’র শিমুলিয়া ঘাট পরিদর্শক মো. সোলেমান বাংলানিউজকে বলেন, লঞ্চ ও সিবোট ঘাটে যাত্রীদের চাপ সকাল থেকেই বেশি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় লঞ্চ ও সিবোট চলাচলে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী রাত ১০টা পর্যন্ত চলাচল করছে লঞ্চ।

মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌরুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক আছে।

বাংলাদেশ সম: ১৮১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০১৯
এসআরএস 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।