ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

নেত্রকোনায় ১৪০ স্থানে মিলবে কোরবানির পশু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
নেত্রকোনায় ১৪০ স্থানে মিলবে কোরবানির পশু

নেত্রকোনা: আসন্ন ঈদুল আজহায় নেত্রকোনার দশ উপজেলায় ১৪০টি স্থান থেকে কোরবানির পশু সংগ্রহ করতে পারবেন মুসল্লিরা। এরই মধ্যে ওইসব হাটে পুলিশি নিরাপত্তায় শুরু হয়েছে কোরবানির গরু-খাসিসহ পশু বেচা-কেনা।

নেত্রকোনার পুলিশ সুপার (এসপি) আকবর আলী মুন্সি বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জেলায় স্থায়ী হাটের সংখ্যা ৫১ ও অস্থায়ী ৮৯টি।

এর মধ্যে ৩৮টি হাটকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখছে জেলা পুলিশ। তবে অনুমোদনহীন কোনো হাট যেন কোথাও বসতে না পারে সেদিকেও নজরদারি চলছে।

জেলার দশ থানার মধ্যে সদরে বিভিন্ন স্থানে হাট বসেছে ৩২ ও বাকি নয় উপজেলার মধ্যে পূর্বধলায় ৩৯, বারহাট্টায় ১০, আটপাড়ায় ৯, মোহনগঞ্জে ৩, দুর্গাপুরে ১১, কলমাকান্দায় ৫, কেন্দুয়ায় ১৭ ও মোহনগঞ্জে ১৪টি। হাওরদ্বীপ খ্যাত খালিয়াজুড়ি উপজেলায় কোনো ধরনের পশুর হাট বসেনি।

অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, হাটে জালটাকা শনাক্ত করতে ছয়টি সরঞ্জামে ভ্রাম্যমাণ পদ্ধতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যেখানে কোনো নোট নিয়ে সন্দেহ হওয়া বা জটিলতা সৃষ্টির খবর পেলেই তাৎক্ষণিক সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে পুলিশ সদস্যরা। এর মধ্যে কলমাকান্দা উপজেলা থেকে এক প্রতারকসহ ১৪ হাজার টাকার জালনোট জব্দ করা হয়েছে।

জেলা পুলিশের তথ্যের বরাত দিয়ে এসপি আকবর আলী মুন্সি বাংলানিউজকে আরও জানান, মসজিদ ও মাঠসহ এক হাজার ৭৪৯টি স্থানে অনুষ্ঠিত হবে ঈদের জামাত। এরমধ্যে ৫০৮টি রয়েছে মসজিদ ও এক হাজার ২৪১ মাঠ। মুসল্লিদের নিরাপত্তা রক্ষায় মাঠে নিয়োজিত থাকবে জেলার ছয় শতাধিক পুলিশ। ইতোমধ্যে মাঠে কাজ শুরুও করছেন তারা। বাস বা রেলস্টেশন থেকে শুরু করে জেলার সব জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানে নজরদারি করছে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের সদস্যরা।

ঈদ মুহূর্তে কোথাও কেউ কোনো ধরনের সমস্যা বা বিপদের মুখোমুখি হলে তাৎক্ষণিক ০১৭১৩৩৭৩৪৯৭ এবং ০১৭১৩৩৭৩৪৯৯ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।