ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির হাট

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০১৯
ঠাকুরগাঁওয়ে জমে উঠেছে কোরবানির হাট ঠাকুরগাঁওয়ে কোরবানির হাট। ছবি: বাংলানিউজ

ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের হাটগুলোতে দেশি গরুর বাজার জমে উঠেছে। গরু উঠছে চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। কিন্তু এরপরও হাটগুলোতে কোরবানির গরু কেনাবেচা হচ্ছে চড়া দামে।

অন্যদিকে হাটের অব্যবস্থাপনায় নাকাল হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। গরু ব্যবসায়ীদের অভিযোগ জেলা পেরুলেই প্রতিটি গরু-বোঝাই ট্রাকের চাঁদা দিতে হয় ঘাটে ঘাটে।

ঠাকুরগাঁও সীমান্ত এলাকা নিশ্চিদ্র নিরাপত্তায় ঢাকা থাকায়, ঢুকছে না ভারতীয় গরু। অবশ্য পাশের জেলা পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে আসা ভারতীয় গরু হাটগুলোতে দেখা যাচ্ছে।

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ঠাকুরগাঁও জেলায় গড়ে উঠেছে ছোট-বড় প্রায় ১৪ হাজার পশুর খামার। এসব খামারে প্রায় ৮০ হাজার গরু, ছাগল-ভেড়াকে হৃষ্টপুষ্ট করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে বিক্রির জন্য এগুলো হাট-বাজারে তোলা হচ্ছে।

এবার ১১টি স্থায়ী ও ১০টি অস্থায়ী হাটে ইতোমধ্যে ব্যাপক গরুর আমদানি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এরইমধ্যে জমে উঠেছে পশুর হাটগুলো। দেশীয় গরুর পাশাপাশি খামারের গরু ও ভারতীয় গরুতে ভরে গেছে হাটগুলো। বিক্রেতারা বিভিন্ন খামার থেকে বড় বড় গরু কিনে আনলেও বড় গরুর ক্রেতা তেমন একটা নেই।

আবদুল জব্বার নামে এক ক্রেতা বাংলানিউজকে বলেন, ব্যবসায়ীরা গরুর দাম হাঁকছেন ইচ্ছেমতো। অবশ্য স্থানীয়রা বড় গরুর চাইতে দেশি গরুর দিকে ঝুঁকছেন বেশি। তবে ভারতীয় বিশাল আকারের গরুর প্রতি স্থানীয় ক্রেতাদের তেমন একটা আগ্রহ নেই।

গো-খাদ্যের দাম ও পরিবহন খরচসহ আনুসঙ্গিক দাম বেশি হওয়ায় গত বছরের চেয়ে গরুর দাম বেশি বলে জানায় ক্রেতা-বিক্রেতারা। এদিকে জেলার বেশির ভাগ হাটের অব্যবস্থাপনায় দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন গরু ব্যবসায়ী ও গ্রাহকরা।

হাটগুলোতে গরুর স্বাস্থ্যপরীক্ষার টিম থাকার কথা থাকলেও কোথাও দেখা যায়নি। এতে অনকেই গরু কিনেও শঙ্কিত। জালটাকা শনাক্তকরণ মেশিন থাকলেও জানেন না অনেক ক্রেতা-বিক্রেতা।

গরু ব্যবসায়ী মানিক বাংলানিউজকে বলেন, জেলা পেরিয়ে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাক ভর্তি গরুর জন্য প্রতি ঘাটে ১শ টাকা করে চাঁদা দিতে হয়। এতে পরিবহন খরচও বেড়ে যায়।
ঠাকুরগাঁও জেলায় ৫ উপজেলায় ছোটবড় ১৩৪ টি হাট-বাজার রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশতাধিক হাটে গরু ছাগল কেনা-বেচা হচ্ছে।

এদিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বাংলানিউজকে জানান, রোগাক্রান্ত ও ক্ষতিকারক কৃত্রিম পদ্ধতিতে লালন-পালন করা পশু যেন হাটে বিক্রি না হয়, সেজন্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে হাটে মেডিকেল ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) আল-আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, প্রতিটি হাটে সাদা পোশাকে ও গোয়েন্দা পুলিশি ব্যবস্থা আছে সার্ভেলেন্স টিম আছে, যাতে গরুর হাটে ক্রেতারা  নির্বিঘ্নে পশু কেনাবেচা করতে পারে। অজ্ঞান পার্টির ব্যাপারে পুলিশি তৎপরতা রয়েছে। অনেক জায়গায় অজ্ঞান পার্টির লোক ধরা পড়ছে। এ ক্ষেত্রে অপরিচিত কারো কাছে কেউ যেন কোনো কিছু না খায় এবং অজ্ঞান পার্টির শিকার না হয়, সেজন্য সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩০, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।