ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

জামালপুরে নৌকাডুবি: নারী-শিশুসহ এখনো নিখোঁজ ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
জামালপুরে নৌকাডুবি: নারী-শিশুসহ এখনো নিখোঁজ ৬

জামালপুর: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে ভিজিএফের চাল নিয়ে ফেরার পথে যমুনা নদীতে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে নৌকাডুবির ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) বিকেল ৩টা পর্যন্ত ২২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে বুধবার রাতে ১৬ জনকে এবং বৃহস্পতিবার প্রজাপতির চর থেকে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনো শিশু ও নারীসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ফুটানি বাজার ঘাট থেকে ২৮ জন যাত্রী নিয়ে একই ইউনিয়নের যমুনার পশ্চিম পাড়ের টিনেরচর গ্রামে যাচ্ছিল। যাত্রীরা সবাই ওই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই গত বুধবার বিকেলে চুকাইবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ভিজিএফ চাল উত্তোলন করে একই নৌকায় বাড়িতে ফিরছিলেন। ফুটানি বাজার ঘাট থেকে যুমনা নদী পথে প্রায় সাত কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে টিনেরচর গ্রামে যেতে হয়। নদীর মাঝামাঝি ভেড়াখাওয়া মাথা এলাকায় নৌকাটি হঠাৎ ডুবে যায়।  

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল কালাম বাংলানিউজকে জানান, ডুবে যাওয়া নৌকায় মাঝি মনোয়ার হোসেনসহ অন্তত ২৮ জন যাত্রী ছিল। মাঝ নদীতে নৌকাডুবির বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বেশ কয়েকটি নৌকা নিয়ে সেখানে গিয়ে যাত্রীদের উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। পরে তাদের সঙ্গে যুক্ত হয় জামালপুর ও দেওয়ানগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধার কর্মীরা।

বুধবার রাত ১টায় বৈরী আবহাওয়ায় ফায়ার সাভির্সের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান স্থগিত করলেও সকাল থেকেই উদ্ধার অভিযান শুরু করেছে। নিখোঁজ ৬ জনের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান চলছে।  

জামালপুর ফায়ার সার্ভিস স্টেশন অফিসার নুর উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, সকালে দেওয়ানগঞ্জের ফুটানি বাজার ঘাট থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযান শুরু করে। নৌকা ডুবির ঘটনাস্থল চিনার চর থেকে থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে প্রজাপতির চরের বিভিন্নস্থানে ৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা নৌকাডুবির পর যমুনা নদীতে সাঁতরিয়ে ও ভাসতে ভাসতে পাড়ে উঠে। চরের বিভিন্নস্থানে রাতে অবস্থান করে।

তিনি আরও জানান, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ ও স্থানীয়রা ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে নিখোঁজ ৬ জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে। বড় দু’টি নৌকা নিয়ে যমুনার মাঝপথ, দুর্ঘটনাস্থল ও আশপাশে উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে বিশাল এরিয়া, বৈরী আবহাওয়া ও যমুনায় তীব্র স্রোতে থাকায় ডুবুরিরা সঠিকভাবে উদ্ধার অভিযানে চালাতে পারছে না।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম মোস্তফা বাংলানিউজকে জানান, বুধবার চুকাইবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চর হালকা হাওরাবাড়ীর দুস্থ মানুষজন ভিজিএফের চাল উত্তোলন করে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ফুটানি বাজার ঘাট থেকে নৌকাযোগে চর হালকা হাওড়াবাড়ীর ফেরার পথে ২৮ যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ ৫ জনকে জীবিত উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ,ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় লোকজন একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। নিখোঁজদের খোঁজে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৮, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।