ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মশা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান আতিক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ৮, ২০১৯
মশা নিয়ন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রীর সহায়তা চান আতিক সংবাদ সম্মেলনে মেয়র আতিকুল ইসলাম। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: মশা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতি জোর দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সবধরনের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি। 

বুধবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি। ডিএনসিসির মশক নিধন কার্যক্রম ও কীটনাশক সম্পর্কিত অগ্রগতি জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

 

ডিএনসিসি মেয়র বলেন, যেদিন থেকে দায়িত্ব নিয়েছি, সেদিন থেকেই মশা নিয়ে কাজ করছি। দায়িত্ব নেওয়ার পর বড় ধরনের প্রথম বৈঠকটি করেছিলাম মশক-কর্মীদের নিয়ে। সম্প্রতি এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে কলকাতার সাফল্যের কথা বিভিন্ন মিডিয়ায় এসেছে। সেগুলো দেখে আমি কলকাতা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। সেখানকার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলে জানতে পারলাম, তারা সেখানে ইন্টিগ্রেটেড (সমন্বিত) পদ্ধতিতে কাজ করে। আমাদের এখানেও তেমনি একটি ন্যাশনাল ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিতে কাজ করতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাচ্ছি, তার সাহায্য চাচ্ছি।  

মশা নিয়ন্ত্রণে পরিকল্পনার কথা জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের শর্ট, মিড ও লং টার্ম- এ তিন ধরনের সময় নির্ধারণ করে কাজ করতে হবে। আমাদের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ল্যাবরেটরি স্থাপন করতে হবে। কারণ, ডেঙ্গু নিয়ে শুধু এখন কাজ করলে হবে না, বছরের ৩৬৫ দিন কাজ করতে হবে। আবার, শুধু ওষুধ ছিটালেই হবে না, তার কোয়ালিটি কন্ট্রোল (গুণগত নিয়ন্ত্রণ) করতে হবে। অর্থাৎ, ওষুধ ছিটানোতেও কোয়ালিটি আনতে হবে। এর জন্য মশক-কর্মীদের, তাদের সুপারভাইজারদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। আমরা হয়তো এখন শুধু ভারতের উদাহরণ দেখছি। কিন্তু, পৃথিবীর অন্য দেশের বেস্ট প্র্যাকটিসও আমরা নিতে চাই। আমাদের বারবার রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপ করে এগোতে হবে।  

সভায় ডিএনসিসির প্রধান ভেক্টর পরামর্শক ড. মঞ্জুর চৌধুরী বলেন, শুধু ফগিং মেশিন দিয়ে ওষুধ দিয়ে বা কীটনাশক ছিটিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। আবার, একেবারে কীটনাশক ছাড়াও সম্ভব নয়ে। এর জন্য দরকার ইন্টিগ্রেটেড ভেক্টর কন্ট্রোল ম্যানেজমেন্ট। এর মাধ্যমে ভাইরাস ট্রান্সমিশনকে স্লো ডাউন করতে হবে।  

ডিএনসিসির ভেক্টর বিষয়ক আরেক পরামর্শক ড. কবিরুল বাশার বলেন, মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য যে চারটি বিষয়কে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে, তা হলো- পরিবেশ, বায়োলজিক্যাল, রাসায়নিক ও সামাজিক সচেতনতা। এগুলোর মধ্যে আমরা শুধা রাসায়নিক অর্থাৎ ওষুধ বা কীটনাশক প্রয়োগের দিকে বেশি জোর দিচ্ছি। অথচ, আমাদের উচিত সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ ও বায়োলজিক্যাল উপাদানগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করা। পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদি মহাপরিকল্পনা নিয়ে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব, যদি ঠিকমতো জনবল পাওয়া যায়।  

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়ুয়া, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোমিনুর রহমান মামুন।  

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০১৯
এসএইচএস/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।