ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে নৈশপ্রহরীকে মারধর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১০ ঘণ্টা, আগস্ট ৬, ২০১৯
ইয়াবা দিয়ে ফাঁসিয়ে নৈশপ্রহরীকে মারধর

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ইয়াবা ট্যাবলেট পকেটে দিয়ে ফাঁসানোর পর উবায়দুল্লা (৩০) নামে এক দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরীকে পিটিয়ে কানের পর্দা ফাটিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে জামিরুল নামে এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর মডেল থানায় কর্মরত। 

এ ঘটনায় সোমবার (০৫ আগস্ট) দুপুরে পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত নৈশপ্রহরী উবায়দুল্লা।  

উবায়দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, গত শনিবার (৩ আগস্ট)  রাত সাড়ে ৯টার দিকে আমি বাড়ি থেকে বের হয়ে স্কুলের নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালনের জন্য বিদ্যালয়ে আসি।

এর কিছুক্ষণ পর কয়েকজন লোক এসে আমাকে দরজা খুলতে বলেন। দরজা খুলতেই বাচ্চু নামে কেউ আছে কি না বলে খুঁজতে থাকেন। বাচ্চু নামে কেউ নাই বলার পর আমার পকেটে হাত দেন।  পরে আমি বিদ্যালয়ের প্রতিটি কক্ষের তালা খুলে দেখিয়ে দেই। কক্ষগুলোতে কাউকে না পেয়ে পুনরায় আবার রুমে এসে তারা আমার পকেট চেক করার সময় কয়েকটা ইয়াবা ট্যাবেলট ঢুকিয়ে দেয়। আমি এগুলো কি বলার সঙ্গে সঙ্গে এসআই জামিরুল তুই ইয়াবা ব্যবসা করছ- বলেই আমাকে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে আমার হাতে হাতকড়া পরিয়ে বাচ্চুকে বের করে দিতে বলেন। এ সময় আমার সঙ্গে থাকা ভাতিজাকেও আটক করে ফেলেন। আমার হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিয়ে যান এবং টাকা দাবি করেন। পরে আমার মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে ইউপি সসদ্যকে ডেকে আনেন। আমার বাবাও খবর পেয়ে এখানে চলে আসেন। পরে আমাকে ছাড়ানোর জন্য ইউপি সদস্য আবু তালেবের মাধ্যমে বাবার কাছ থেকে আড়াই হাজার টাকা নিয়ে যান এসআই।

উবায়দুল্লা আরও বলেন, আমি এ ঘটনাটি পুলিশের ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারা আমাকে বলেছে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ জমা দিতে। আমার ওপরে অর্তকিত পুলিশি হামলায় আমি অনেকটা শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমি ভাল করে কানে শুনতে পাচ্ছি না। আমি এসআই জামিরুলের হামলার সুষ্ঠু বিচার চাই।

নৈশপ্রহরী উবায়দুল্লাহর চিকিৎসক নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ এবিএম মুছা চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, প্রচণ্ড আঘাতে উবায়দুল্লাহর কানের পর্দা ফেটে গিয়েছে। বর্তমানে তার কানের চিকিৎসা চলছে।

এদিকে এসআই জামিরুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা। যদি ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে তারা বিচার চেয়ে থাকে তাহলে তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুস সামাদ আকন্দ বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি আমাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। আমি অভিযোগ দিতে বলেছি পুলিশ সুপার বরাবর।

এ ব্যাপারে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ওই দপ্তরী কাম নৈশপ্রহরী আমার কাছে অভিযোগ করেছে। আমি পুরো ঘটনাটি তার কাছ থেকে শুনেছি। সে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত করে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ০৫, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।