টেকনাফ শুল্ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালের ২৫ মে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে নাফ নদী সংলগ্ন এলাকায় চালু করা হয় একটি ক্যাটল করিডোর। এ করিডোর দিয়ে পশু আমদানির ক্ষেত্রে প্রতিটি গরু-মহিষ থেকে ৫ শত ও ছাগল থেকে ২ শত টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়।
সূত্র জানায়, গত জুলাই মাসে এ করিডোর দিয়ে আমদানি হয়েছে ৬ হাজার ৭৪৪টি গরু ও ৩ হাজার ৩৫১টি মহিষ। এছাড়া গত ১ ও ২ আগস্ট দু’দিনে ২ হাজার ১২টি গরু এবং ৬১০টি মহিষ আমদানি করা হয়েছে। তবে বৈরি আবহাওয়ার কারণে আজ শনিবার (৩ আগস্ট) গরু বোঝাই কোনো ট্রলার মিয়ানমার থেকে টেকনাফে আসেনি।
টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মো. ময়েজ উদ্দীন বাংলানিউজকে বলেন, এ করিডোর রাজস্ব আদায়ে ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। আবহাওয়া বৈরি হওয়ায় গত কয়েকদিন পশু আমদানি বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে পশু আসা শুরু হয়েছে। গত একমাসে এ করিডোর দিয়ে পশু আমদানি থেকে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৫০ লাখ ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা। এছাড়াও গত দু’দিনে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১৩ লাখ ১৩ হাজার টাকা। টেকনাফ গরু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পৌর কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ মনির বাংলানিউজকে জানান, বৈরি আবহাওয়ার পর মিয়ানমার থেকে আবার পুরোদমে গরু আমদানি শুরু হবে। মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ বাধা সৃষ্টি না করলে কোরবানির আগ পর্যন্ত আরও ২০ থেকে ২৫ হাজার গরু আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।
করিডোরের ব্যবসায়ী শহীদুল ইসলাম বলেন, গত চারদিনে মিয়ানমার থেকে ১ হাজার ৭০টি গরু আমদানি সম্ভব হয়েছে। চাহিদা বেশি থাকায় দামও মোটামুটি ভালো পাচ্ছি। এভাবে পশু আমদানি অব্যাহত রাখা গেলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন বাজারেও এখানকার গরু সরবরাহ সম্ভব হবে।
ব্যবসায়ীদের মতে, শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে তিন মণ ওজনের একটি গরুর দাম পড়ছে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা। চার মণ ওজনের গরু ৮৫ থেকে ৯৫ হাজার ও পাঁচ মণের বেশি ওজনের গরু ১ লাখ ২০ থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এসব গরু চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ঢাকাসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ হাজার থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০১ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯
এসবি/এইচএডি