ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০২ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৯
কক্সবাজারে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৪

কক্সবাজার: কক্সবাজারের টেকনাফের নুরউল্লাহঘোনা পাহাড়ে ডাকাত দলের এবং মেরিন ড্রাইভ সড়কে মাদককারবারির সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন ডাকাত ও এক মাদককারবারি নিহত হয়েছেন।

শনিবার (৩ আগস্ট) ভোরে টেকনাফের নুরউল্লাহঘোনা পাহাড়ে ডাকাত দলের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে আটটি দেশীয় তৈরি অস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ ও ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশের দাবি, নিহতদের মধ্যে জুনায়েদ, আইয়ুব, মেহেদি হাসান হলেন ডাকাত ও ইমরান মোল্লা একজন ইয়াবাকারবারি।

টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, নুরউল্লাহঘোনা পাহাড়ি এলাকায় একাধিক মামলার পলাতক আসামি জুনায়েদ, আইয়ুব, মোস্তাকসহ ১০ থেকে ১৫ জনের একটি ডাকাত দল অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ডাকাতির জন্য সমবেত হয়েছে। পরে তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলে ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকায় একপর্যায়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ানের নেতৃত্বে ঘটনাস্থলে আরও ফোর্স পাঠানো হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ডাকাত জুনায়েদ, আইয়ুব ও মেহেদিকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন।  

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে সাতটি অস্ত্র, পাঁচটি কিরিচ, ২৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ডাকাত সদস্যদের গুলিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজোয়ান, পুলিশ পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সজীব ও কনস্টেবল মেহেদী আহত হয়েছেন।

এদিকে, শুক্রবার (২ আগস্ট) দিনগত রাত দেড়টার দিকে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগারপাড়ায় মাদককারবারিদের মধ্যে গুলিবিনিময়কালে ইমরান মোল্লা নামে এক ইয়াবাকারবারি নিহত হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। ইমরান মাদারীপুরের কালকিনি থানার গিয়ারকুল গ্রামের মৃত জহিরুল মোল্লাহর ছেলে।

ওসি প্রদীপ আরও জানান, মেরিন ড্রাইভ সড়কের দরগাহপাড়া স্থানে পুলিশ দায়িত্ব পালনকালে সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে রাস্তার পাশে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়ানো দেখে পুলিশ সদস্যরা অটোরিকশাটির কাছে গেলে এক ব্যক্তিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। এ সময় অস্ত্রসহ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে সাইফুদ্দিন শাহীন (৩৮) ও টেকনাফের মৃত বাচা মিয়ার ছেলে মো. সিদ্দিককে (২৭) আটক করে পুলিশ।

পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ইমরানকে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।  

আটক দু'জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ওসি ওসি প্রদীপ।

বাংলাদেশ সময়: ০৮৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৩, ২০১৯/আপডেট: ১০১৯
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।