ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৮ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে বাংলাদেশ ‘বাংলাদেশের চলমান কূটনীতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। তবে চীনের কাছ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করছি। একইসঙ্গে রাশিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু রাষ্ট্র।

বুধবার (৩১ জুলাই) রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড সংলগ্ন কুড়াতলী এলাকায় অ্যামেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ড. আনোয়ারুল আবেদীন লেকচার সিরিজ অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশের চলমান কূটনীতি’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

এ সময় চীনের ঋণ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, চীনের কাছ থেকে ঋণ সহযোগিতা নেওয়ার ব্যাপারে এখন সতর্ক বাংলাদেশ, যেন শ্রীলঙ্কার মতো অবস্থা না হয়।

তিনি বলেন, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে শত্রুতা নয়-কূটনীতির এই মূলনীতি অনুসরণ করেই ভারত এবং চীনের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে বাংলাদেশ। আমরা পশ্চিমাদের সঙ্গে যেমন সুসম্পর্ক বজায় রাখছি, একইভাবে মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গেও ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখছি। আর আমাদের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী বন্ধু হচ্ছে রাশিয়া।

পরারাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সবাই বাংলাদেশে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের সমালোচনা করে অথচ, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর পুলিশের হাতে এক হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়। তা নিয়ে কেউ কথা বলে না।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে অভিজ্ঞ এ কূটনীতিক বলেন, প্রথমবারের মতো মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব নিয়ে কথা বলছে, কক্সবাজারে রোহিঙ্গারা নাগরিকত্বের দাবি তুললে তারা ফিরে গিয়ে এটি নিয়ে আলোচনার জন্য রাজি হয়েছে।

‘রোহিঙ্গারা ফিরে না গেলে মৌলবাদ মাথা চাড়া দিতে পারে। আর তা হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আঞ্চলিক উন্নয়ন প্রচেষ্টা ব্যাহত হবে। ’

তিনি বলেন, কিছু আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার কারণে রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে পাঠাতে পারছে না সরকার। তবে জোর করে রোহিঙ্গাদের সেখানে পাঠানো হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৭ ঘণ্টা, ৩১ জুলাই, ২০১৯
টিআর/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।