ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় হাফেজ গ্রেফতার

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
চুয়াডাঙ্গায় ছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় হাফেজ গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় মাদ্রাসাছাত্র বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষক হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল মুমিনকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাতে কুষ্টিয়ার মীরপুর উপজেলার আমলা সদরপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করে।  

হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল মুমিন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেড় গ্রামের হাজী আমিনুল ইসলামের ছেলে।

 

গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ।  

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ওহিদুল ইসলাম জানান, ২০১৮ সালে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন মুফতি আব্দুল মুমিন। চাকরি করার সময় ওই বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসার ১ম শ্রেণির এক ছাত্রকে বলাৎকার করেন ওই শিক্ষক। ঘটনাটি কাউকে জানালে ওই ছাত্রকে প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয়।  

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ইন্সপেক্টর লুৎফুল কবির জানান, প্রায় দেড় বছর আগে বলাৎকারের ঘটনা ঘটলেও প্রাণভয়ে ওই ছাত্র বিষয়টি গোপন রাখে। কিন্তু গত ২৪ জুলাই আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা গ্রামে বলাৎকারের ঘটনা ধামাচাপা দিতে মাদ্রাসাছাত্র আবির হুসাইনকে মাথা কেটে হত্যার পর পরিবারের সদস্যদের কাছে মুখ খোলে নির্যাতিত ওই ছাত্র। বিষয়টি নিয়ে ওই ছাত্রের চাচা সোমবার সকালে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।  

চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ জানান, বলাৎকারের ঘটনায় মামলা দায়ের হবার পর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে মাঠে নামে। সোমবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানসহ মেহেরপুরের গাংনী এলাকায় অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা আমলা সদরপুর এলাকা থেকে হাফেজ মওলানা মুফতি আব্দুল মুমিনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রকে বলাৎকারের ঘটনা শিকার করেছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।  

জানা যায়, ২০১৮ সালে বলাৎকারের শিকার ওই মাদ্রাসাছাত্র সদর উপজেলার আকুন্দবাড়িয়া কওমী দাখিল মাদ্রাসার ছাত্র থাকলেও বর্তমানে সে আলমডাঙ্গার কয়রাডাঙ্গা নুরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসায় (সম্প্রতি মাদ্রাসাছাত্র খুন হওয়া) অধ্যায়নরত আছে।  

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০১৯
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।