মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুর সোয়া ৩টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এ জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে মিন্নির জামিনের জন্য শুনানি শুরু হয়।
বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (২২ জুলাই) প্রথমবার মিন্নির জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে ওইদিনই শুনানি শেষে আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। এরপর (২৩ জুলাই) মিস কেস দাখিল করে বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামানের আদালতে ফের জামিনের আবেদন করেন মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম। পরে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নথি তলব করে (৩০ জুলাই) এ জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন আদালত।
বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোটেক ভূবন চন্দ্র হালদার বলেন, রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নির যে ভূমিকা তা আমরা আদালতে তুলে ধরেছি। একপর্যায়ে আদালত এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে হাজির হয়ে মোবাইল কল রেকর্ড এবং বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করেন। পরে আদালত বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি তর্কে সন্তুষ্ট হয়ে মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করেন। তবে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কী কী তথ্য আদালতে উপস্থাপন করেছেন, তা মামলার তদন্তের স্বার্থে গণমাধ্যমকে জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন তিনি।
মিন্নির আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, দীর্ঘ তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আদালতে মিন্নির জামিন শুনানি হয়েছে। আদালত বাদী এবং আসামি উভয়পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য মনযোগ সহকারে শুনেছেন। এছাড়াও মামলার শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের উপস্থাপন করা সব তথ্য-উপাত্ত যাচাই বাছাইয়ের জন্য মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব করে সত্যতা যাচাই করেন। পরে আদালত মিন্নির জামিন নামঞ্জুর করেন।
তিনি আরো বলেন, আদালত আইনজীবীদের বক্তব্য মনযোগ সহকারে শোনায় আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি। আদালতের আদেশ বের হলে আমরা মিন্নির বাবার সঙ্গে কথা বলে উচ্চ আদালতে আবার মিন্নির জামিনের আবেদন করবো।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫২ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০১৯
আরএ