ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

এডিস মশা নিধনে সচেতনতার বিকল্প নেই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এডিস মশা নিধনে সচেতনতার বিকল্প নেই সচেতনতার জন্য লিফলেট বিতরণ করছেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সঙ্গে ডিএনসিসি মেয়রসহ অন্যরা/ছবি- জি এম মুজিবুর

ঢাকা: এডিস মশা নিধনে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন এলজিআরডি মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেলে রাজধানীর নিউ ইস্কাটনে বিয়াম অডিটোরিয়ামের সামনে জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) আয়োজনে লিফলেট বিতরণের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ফেব্রুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এডিস মশার উপদ্রব দেখা যায়।

এজন্য আমরা মার্চ ও এপ্রিল মাস থেকে এডিস মশা নিধন কর্মসূচি নিয়েছি। এরই অংশ হিসেবে আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের সমন্বয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, এডিস মশা বৃদ্ধির কারণে ডেঙ্গু জ্বরসহ সব রোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ থেকে মুক্তি পেতে হলে আমাদের জনসচেতনতা গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এডিস মশার উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিলিপাইনে ৭৭ হাজার, মালয়েশিয়ায় ৪৬ হাজার, ভিয়েতনামে ৫০ হাজার, থাইল্যান্ডের ২৬ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। সিঙ্গাপুরেও হাজার হাজার মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। বাংলাদেশে এডিস মশা বৃদ্ধি পেয়েছে, তবে এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে অনেকটা কম বলে তিনি জানান।

তিনি বলেন, আমাদের ১০ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল। বর্তমানে আক্রান্ত দুই হাজার ৬০০শ রোগী বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন, বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন।  

এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন,  মশার এই উপদ্রব থেকে আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে জনসচেতনতা। এরই অংশ হিসেবে আমরা আজকের এই প্রচারণা চালাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমরা ওষুধ ব্যবহার করছি, মশার উপদ্রব যথেষ্ট কমেছে, কিন্তু এডিস মশা কমাতে হলে জনগণের সম্পৃক্ততা ছাড়া সম্ভব না। এর কারণ হলো বৃষ্টি হলে ছাদে পানি জমে, ফুলের টবে পানি জমে, টায়ার ও টিউবে পানি জমে। পরিষ্কার পানিতে জন্মায় এডিস মশা। তাই আপনার বাড়ির আঙিনা আমার বাড়ির আঙিনাসহ আশেপাশে আসবাবপত্রের মধ্যে যাতে পানি জমে না থাকে, এটা যত দ্রুত পরিষ্কার করতে পারবো তত তাড়াতাড়ি এডিস মশার প্রজনন ধ্বংস হবে বলে তিনি মনে করেন।

সিটি করপোরেশনের পক্ষে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে মশা নিধন করা কঠিন, তাই মাঠে ময়দানে প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে সচেতন করছেন তারা।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের জনগণ আগের চেয়ে অনেক সচেতন হয়েছে, অন্য দেশের চেয়ে আমরা সফল হলেও এখনো সন্তুষ্ট হতে পারিনি।

ওষুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি নিয়ে বিতর্ক আছে, এটি সত্য। আমরা নিজেরাও ওষুধ ব্যবহার করে দেখেছি অনেক মশা মরে যায়, অনেকটা মরে না। তবে সরাসরি বলা যাবে না ‍ওষুধ অকার্যকর। বর্তমানে আমরা যে ওষুধ ব্যবহার করছি এর ফলাফল পাওয়া গেছে। এশিয়ার মধ্যে আমাদের দেশে আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে অনেক ওষুধ লাগবে যার জন্য আমরা আমদানির ব্যবস্থা করছি।  

এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের সচিব হেলাল উদ্দিনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৪ ঘণ্টা, জুলাই  ২৯, ২০১৯
এসএমএকে/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।