ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

জাতীয়

মেট্রোরেল রুট-১: এয়ারপোর্ট-কমলাপুর, নতুনবাজার-পূর্বাচল

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
মেট্রোরেল রুট-১: এয়ারপোর্ট-কমলাপুর, নতুনবাজার-পূর্বাচল ফাইল ছবি

ঢাকা: কয়েক দফা জরিপ ও ফিজিবিলিটি স্টাডির পর নির্ধারণ করা হয়েছে আরেক মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-১ এর রুট। এর আওতায় এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর আর নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মোট ২৭ দশমিক ৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এলাইনমেন্ট ঠিক করা হয়।

এমআরটি লাইন-০১ এ এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত-যমুনা ফিউচার পার্ক-নতুনবাজার-বারিধারা-উত্তর বাড্ডা-হাতিরঝিল-রামপুরা-মৌচাক হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২ কিলোমিটার আর অন্যটি নতুনবাজার-যমুনা ফিউচার পার্ক-বসুন্ধরা-পুলিশ অফিসার হাউজিং সোসাইটি-মাস্তুল-পূর্বাচল পশ্চিম-পূর্বাচল সেন্টার-পূর্বাচল সেক্টর-৭-পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩ কিলোমিটার রুট নির্মিত হবে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগে এমআরটি লাইন-১ এর ওপর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি (পিইসি) সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

সভায় পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য শামীমা নার্গিস সভাপতিত্ব করেন। এমআরটি-১ এর জন্য রিভাইস স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট প্ল্যানে (আরএসটিপি) রুট নির্ধারিত ছিল ৫২ কিলোমিটার। কিন্তু পিইসি সভায় এয়ারপোর্ট থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ২০ দশমিক ৭৫ কিলোমিটার রুট বাতিল করা হয়েছে। কারণ এই রুটে নির্মিত হচ্ছে গাজীপুর থেকে এয়ারপোর্ট পর্যন্ত বহু প্রতীক্ষিত বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) পৃথক লেন। ফলে এ রুটে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে না।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় ৭৮টি যানবাহন কেনা হবে। এরমধ্যে ২৬টি জিপ, ২৪টি ডাবল কেবিন পিকআপ ও ২৮টি মোটরসাইকেল। এসব কেনা বাবদ মোট ব্যয় হবে ৩৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।  প্রকল্পের আওতায় যানবাহন রক্ষণাবেক্ষণ খাতে ২ কোটি টাকা, ইউটিলিটি স্থানান্তর বাবদ ৭০০ কোটি টাকা, ভূমি অধিগ্রহণ ও পুনর্বাসন খাতে ২ হাজার ৩৫৫ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় বৈদেশিক ঋণে সুদ দিতে হবে ১ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা। পরামর্শক খাতে ৫ কোটি ও প্রশিক্ষণ খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ কোটি টাকা। প্রকল্পের আওতায় সেমিনার, কর্মশালা ও সম্মেলনে দেড় কোটি টাকা রাখা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ৫১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। এরমধ্যে জাইকা ঋণ ৩৩ হাজার ৯১৪ কোটি ১১ লাখ টাকা। প্রকল্পের বাস্তবায়ন মেয়াদ চলতি সময় থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

পরিকল্পনা কমিশনের ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সিনিয়র সহকারী প্রধান (সড়ক পরিবহন উইং) নাজমুল হাসান বাংলানিউজকে বলেন, এমআরটি-১ নিয়ে পিইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ব্যয় ও সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পরে প্রকল্পটি একনেক সভায় উপস্থাপন করা হবে। একনেক সভায় সব কিছু চূড়ান্ত করা হবে। এটাই ব্যতিক্রমধর্মী মেট্রোরেল হতে যাচ্ছে। এমআরটি-৬ মাটির ওপরে নির্মিত হলেও এমআরটি লাইন-০১ মাটির ওপর এবং মাটির নিচ দিয়ে নির্মিত হবে। কখনও মাটির ওপরে আবার কখনও মাটির নিচ দিয়ে দ্রুতগতিতে চলবে মেট্রোরেল।

সূত্র জানায়, এয়ারপোর্ট থেকে কমলাপুর পর্যন্ত পাতাল মেট্রোরেল নির্মিত হবে। এই রুটে টিকিট কাটা থেকে শুরু করে সবকিছুই হবে আন্ডারগ্রাউন্ডে। তবে নতুনবাজার থেকে পূর্বাচল পর্যন্ত মাটির উপর দিয়ে মেট্রোরেল নির্মিত হবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ সরকার ও জাইকার মধ্যে প্রকল্পের আওতায় ঋণ চুক্তিসই হয়েছে। এ ঋণে সুদের হার শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ। যা ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ৩০ বছরে পরিশোধযোগ্য।

বাংলাদেশ সময়: ১১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৯, ২০১৯
এমআইএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।