ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উভয় পাড়ে আটকে ৬ শতাধিক যান

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৯
ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উভয় পাড়ে আটকে ৬ শতাধিক যান ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উভয় পাড়ে পারের অপেক্ষায় ৬ শতাধিক যানবাহন। ছবি: বাংলানিউজ

ভোলা: যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হয়ে পড়ায় ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের উভয় পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৬ শতাধিক যানবাহন।

বুধবার (২৪ জুলাই) থেকে নতুন একটি ফেরিসহ দু'টি ফেরি থাকলেও উভয় পাড়ের জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীরা।

ঘাটে দিনের পর দিন অপেক্ষা করেও ফেরির দেখা পাওয়া যাচ্ছে না তারা। এতে করে  দু'পাড়ে দীর্ঘলাইন হওয়ায় গন্তব্যে পৌঁছাতে না পণ্যবাহী ট্রাকসহ অন্যান্য যানবাহন। এতে চরম বিড়ম্বনার, দুর্ভোগ আর লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সূত্র জানাচ্ছে, দেশের সবচেয়ে দীর্ঘতম ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরি রুটটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার যোগাযোগের অন্যতম সহজ মাধ্যম। এ রুটে কনকচাঁপা, কৃষানী ও কলমিলতা নামে ৩টি ফেরি নিয়মিত চলাচল করে আসছিল। কিন্তু গত ৩দিনে আগে ২টি ফেরি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিকল হওয়ায় যানবাহন পারাপারে বিঘ্নের সৃষ্টি হচ্ছে।

ট্রাকচালকরা জানাচ্ছেন, ঘাটে তারা ৬/৭ দিন ধরে অপেক্ষা করছেন কিন্তু গন্তব্যে যেতে পারছেন না, কবে যেতে পারবেন তাও তাদের জানা নেই।

তাদের অভিযোগ, দিনে একবার ফেরি চলাচল করে, তাই ঘাটেই বসে থাকতে হয়। ফেরি সচল না হওয়া পর্যন্ত ভোগান্তি পোহাতে হবে।

কয়েকজন ট্রাকচালক জানান, ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটটি গুরুপ্তপূর্ণ হলেও অবহেলিত, একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। এখাতে বাড়তি ফেরি প্রয়োজন। সামনে ঈদ খুব দ্রুত ফেরির সমস্যার সমাধান না হলেও ভোগান্তির সীমা থাকবে না।

ঘাটে গিয়ে জানা গেলো, একটি মাত্র সচল ফেরি দিয়ে কিছুটা যানবাহন পারাপার হলেও ফেরির ট্রিপ কমে যাওয়ায় উভয়পাড়ে পরিবহনের দীর্ঘলাইন জটের সৃষ্টি হয়েছে। জট কমাতে বুধবার আরও একটি ফেরি যুক্ত করা হয়। কিন্তু কিছুতেই জট কমছে না। এতে চরম দুর্ভোগ আর ভোগান্তির মধ্যে পড়েছে ট্রাক ও পরিবহন শ্রমিকরা। কবে নাগাদ ফেরি সচল হবে তাও জানে না কেউ। বেশিরভাগ ট্রাকই ঘাটে ৫/৭দিন ধরে আটকে আছে। একের পর এক সমস্যার কারণে এ রুটটি এখন বিড়ম্বনায় আর ভোগান্তিতে অতিষ্ঠ চলাচলকারীরা। তাই এখানে আরও ফেরি চালুর দাবি তাদের।

তবে খুব দ্রুত ফেরি সচল হবে বলে জানিয়েছেন ফেরির বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ম্যানেজার মো. এমরান খান।

তিনি বলেন, ৩টির মধ্যে দু'টি ফেরি বিকল রয়েছে, সেগুলো মেরামত কাজ চলছে। ঘাটের জট কমাতে আরও একটিসহ মোট দু'টি ফেরি চলছে। শুক্রবারের মধ্যে সব ফেরি সচল হবে বলে আশা করছি। ফেরিগুলো সচল হলে এক সপ্তাহের মধ্যে জট কমে যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।