ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

আইনের আওতায় আসছে গুজব প্রচারকারীরা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫০ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
আইনের আওতায় আসছে গুজব প্রচারকারীরা

নেত্রকোণা: ‘মাথাকাটা-ছেলেধরা’ বলে জনসাধারণের মধ্যে যারা সর্বত্র ভয় আর আতংক ছড়িয়ে দিয়েছে বা দিচ্ছে তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি ড. আক্কাছ উদ্দিন ভূঁইয়া নেত্রকোণা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ কথা বলেন।

এদিন জেলা পুলিশের আয়োজনে গুজব বিরোধী মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে অতিরিক্ত ডিআইজি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) এস এম আশরাফুল আলম, শাহ্জাহান মিয়া (অপরাধ), মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান জুয়েল (সদর সার্কেল), জেলার দশটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জেলা আ’লীগ, আইনজীবী সমিতি, পূজা উদযাপন পরিষদ ও সাংবাদিক নেতারা।

অতিরিক্ত ডিআইজি আক্কাছ আরও বলেন, শনাক্ত করা হচ্ছে গুজব প্রচারণাকারীদের। পুলিশ কঠোর নজরদারি রাখছে তাদের ওপর।

খুব শিগগিরই তাদের আইনের আওতায় এনে খুঁজে বের করা হবে গুজব ছড়ানোর প্রকৃত কারণ ও উদ্দেশ্য।

পাশাপাশি তিনি জনসাধারণের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, কুসষ্কার দিন শেষ। তবে ডিজিটাল যুগে এসে কেন আপনারা গুজবে কান দিবেন আর সন্দেহের বশবর্তী হয়ে গণপিটুনি দিয়ে নিরাপরাধ মানুষ হত্যা করবেন? আমরা প্রত্যেকে কারো না কারো পরম আপনজন, বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন।

মতবিনিময়ে তিনি সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সব ফোন রিসিভড করার পাশাপাশি গুরুত্ব দিয়ে কথা শোনা ও ভালো ব্যবহারের পরামর্শ দেন। কাউকে হয়রানি না করতে কঠোর নির্দেশনার পাশাপাশি থানার ওসি থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশের মোবাইল নম্বর সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার তৈরি করে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সাঁটিয়ে দিতে বলেন।

সম্প্রতি নেত্রকোণায় গলা কেটে শিশু সজিব (৭) হত্যাকাণ্ড নিয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, সজিবকে মূলত বলৎকার করা হয়। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ।

ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকারী প্রতিবেশী মাদকাসক্ত যুবক রবিন শিশুর পরিচয় ও হত্যার প্রমাণ লোপাট করতে দেহ বিচ্ছিন্ন কাটা মাথাটি অন্যত্র ফেলতে গিয়ে ধরা পড়ে। এর জেরে শহরের নিউটাউন অনন্ত পুকুর পাড় এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হয় রবিন।

এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রবিন তার স্ত্রীকে গলা কেটে ফেলতে চেয়েছিল, পরে জীবন বাঁচাতে স্ত্রী সংসার রেখে চলে যান।

একাধিকবার রবিনকে মাদকাসক্ত নিরাময় কেন্দ্রে রাখা হলেও বেরিয়ে এসে ফের মাদকে জড়িয়ে অপকর্মে লিপ্ত হতো সে। তার জন্য নিজেদের বাড়ি বিক্রি করে এখন পরিবারের লোকজনকে ভাড়া বাসায় থাকতে হচ্ছে।

হত্যার শিকার শিশু সজিব ও গণপিটুনিতে নিহত রবিন শহরের পূর্ব কাটলি এলাকার বাসিন্দা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৪, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।